বিএনপি দরিদ্রদের টাকা পকেটে ঢুকিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের সবাই দেশের মানুষকে দরিদ্র দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষার টাকা এনে নিজেরা খেয়ে মোটাতাজা হয়েছেন। বিদেশ থেকে আনা কাচা টাকার মাধ্যমে নিজেরা হয়েছেন বিত্তবান। অন্যদিকে দেশের কঙ্কালসার, দরিদ্র মানুষগুলো হয়েছেন আরও দরিদ্র।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পরপরই দেশের কৃষকদের উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের জীবন-মানোন্নয়নে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন। তিনি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। দেশের মানুষ যাতে উদ্বৃত্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ করতে পারে, সেজন্য প্রতি মহকুমায় গুদাম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতির পিতাকে হত্যার পর কৃষকের উন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়।
বিএনপির লুটপাটের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কৃষকের উন্নয়নে আবারও আমরা নানা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করি। ক্ষমতায় আসার পর দেখি দেশে ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) মানুষ খাদ্য সংকটে ভোগছে। এরপর ২০০৯ সালে এসে দেখি ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) মানুষ খাদ্য সংকটে ভোগছে। কিন্তু কেন? এর আগে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তাদের কাজ-ই ছিল দেশের হত-দরিদ্র মানুষদের আরও দরিদ্র বানিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষার টাকা আনা। আর সেই টাকায় নিজেরা খেয়ে মোটাতাজা হওয়া।’
দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় আমাদের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দেশের জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে আমরা এখন বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য রপ্তানিও করতে পারছি। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। আর সবই সম্ভব হয়েছে কৃষকদের প্রচেষ্টা ও বর্তমান সরকারের সহায়তার ফলে।
সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের উপর জোর দিতে কৃষকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে শিশুদের কৃষিকাজের প্রতি মনোযোগী করে তুলতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষা কারিকুলামে কিভাবে কৃষিকাজের বিষয়টি সংযুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, আমরা শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছি ঠিক আছে, তবে কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়।
এমজে/