ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সুদীপ্ত হত্যায় গ্রেফতার রুবেল চবি ছাত্র হত্যারও আসামি

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যায় গ্রেফতার রুবেল দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাপস হত্যা মামলারও আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার রুবেল দে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী। ইংরেজি মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী ‘চশমা রুবেল’ নামে পরিচিতি। বুধবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদ মোড় থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেলসহ সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ডে মোট পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে।

সুদীপ্ত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তাপস সরকার। ওই হত্যা মামলার আসমি রুবেল।

তিনি বলেন, চবির ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল সোহরাওয়াদী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও আলাওল হলে থাকেন।

২০১৫ সালে হাটহাজারী থানার একটি অস্ত্র মামলারও আসামি তিনি।

তাপস হত্যার পর তার বন্ধু হাফিজুল ইসলামের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা আশরাফুজ্জামান আশা, রুবেল দে, সাহরিদ শুভ, ফরহাদ হোসেন, এনামুল হাসেন অভি, সোহেল খান, রাশেদ হাসানসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

তাপস হত্যা মামলায় ২০১৬ সালের ২ মে ২৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।

গত ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুদীপ্তর পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘটনার জন্য নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারিদের দায়ি করে আসছিল।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মোক্তার, ফয়সাল আহমদ পাপ্পু, খাইরুল নূর ইসলাম ওরফে খায়ের, আমির হোসেন ওরফে বাবু নামে চারজনকে গ্রেফতার করে।

পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোক্তার ও পাপ্পু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশে সুদীপ্তর ওপর হামলা হয়েছে উল্লেখ করলেও হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে রুবেল দে, আইনুল কাদের নিপুসহ কয়েকজনের নাম এসেছিল।

গ্রেফতার মোক্তার জবানবন্দিতে জানিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ৫ অক্টোবর রাতে নিপুর নির্দেশে তারা লালখান বাজার কর্নেল হোটেলের পাশে শাহী গলিতে জড়ো হয়েছিলেন। নিপু তাদের পরদিন ভোরে লালখান বাজার এলাকায় দলবল নিয়ে আসতে বলেছিলেন।

সেখানে নিপু, রুবেলসহ আরও কয়েকজন ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন মোক্তার। আর পাপ্পু লোহার রড দিয়ে সুদীপ্তর মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন জবানবন্দিতে।

পরদিন ভোরে লালখান বাজারে গেলে নিপুর নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি অটো রিকশা ও তিনটি মোটরসাইকেলে করে তারা দক্ষিণ নালাপাড়ায় সুদীপ্তর বাসায় গিয়েছিলেন বলে ভাষ্য মোক্তারের।

এসএইচ/