ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

মমতার উদ্যাগে বুদ্ধদেবের ফ্ল্যাট সংস্কার

প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

আবাসনের দেওয়াল থেকে বটগাছের শেকড় ঢুকে পড়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাটের বাথরুমে। ঘটনাটি দুই বছর আগের। আবাসন কমিটি পুরসভার কাছে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাথরুমের সংস্কার করে দেওয়ার জন্য বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে অনুরোধ করেন। সেই দিনই পুরসভার লোক যায় ফ্ল্যাটে। তখনকার মতো সমস্যার সমাধানও হয়। 

কিন্তু ঠিকমতো সংস্কার এখনও বাকি। আর তারই জন্য এবার ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হতে হলো বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে!

ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্মদিন। তার আগের দিন বুধবার বিকেলে বিধানসভায় নিজের ঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখনই জানতে পারেন, বুদ্ধদেবের আবাসনের বাথরুমটির দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। শোনামাত্রই পুর-কমিশনার খলিল আহমেদকে মমতার নির্দেশ, ‘বুধবার রাত থেকেই যেন বুদ্ধবাবুর বাথরুমের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।’ বুদ্ধদেবের সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিয়ে তাদের ফ্ল্যাটের যেখানে যেখানে মেরামতি প্রয়োজন, তা-ও অবিলম্বে করার নির্দেশ দেন খলিলকে।

কেন বুদ্ধবাবুর ফ্ল্যাটের মেরামতির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর তৎপরতা দেখায়নি, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। এমনকি, সরকারি সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও এখনও ওই ফ্ল্যাটের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হিসেবে বুদ্ধদেব সেটির মালিকানা পাননি জেনেও মমতা ক্ষুব্ধ। পুর-কমিশনারকে কিঞ্চিৎ ভর্ৎসনাও করেন।

সংস্কারকাজ চলাকালীন বুদ্ধদেব চাইলে সরকারি কোনও অতিথিশালায় থাকতে পারেন বলেও প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই আবাসনের কাছে যেভাবে আবর্জনা পড়ে থাকে, তা অস্বাস্থ্যকর বলেও উদ্বেগ ব্যক্ত করেন তিনি। কিছু দিন আগে বুদ্ধদেব অসুস্থ থাকার সময়ে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন মমতা। তখনই ওই ফ্ল্যাটের হাল দেখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, বুদ্ধবাবু যেভাবে থাকেন, তা ঠিক নয়। মমতা চান, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওই পরিবেশ ছেড়ে অন্য কোথাও থাকুন। যদি তিনি রাজি না হন, তা হলে তাকে আপাতত কোনও অতিথিশালায় সরিয়ে মেরামতি করা হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এসি