পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু [ভিডিও]
প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪৭ এএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার
অগ্নিঝরা স্বাধীনতার মাসের শুরু। একাত্তরের এ’দিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায়, কার্যত অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানে।
অগ্নিঝরা মার্চের ৭ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় বাঙালি। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানীদের গণহত্যা শুরুর পরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের পরই ক্ষমতা হস্তান্তরে ষড়যন্ত্র শুরু করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো।
৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও, হঠাৎ করেই পাকিস্তানী জান্তা তা স্থগিত ঘোষণা করে পহেলা মার্চ।
১৯৭১ সালের এ’দিন ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বঙ্গবন্ধু। রেডিওতে অধিবেশন স্থগিতের খবর শুনেই স্টেডিয়ামের খেলা পণ্ড করে দর্শকরা ছুটে আসে পূর্বাণী হোটেলের সামনে। ছাত্রজনতা সেসময়ই স্বাধীনতার দাবিতে শ্লোগান দিতে শুরু করে।
শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সভা, সমাবেশ-হরতাল-অবরোধ চললেও মানুষ অপেক্ষায় ছিলো ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর জনসভার জন্য। লাখো জনতার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন স্বাধীনতার কথা। দেন মুক্তিযুদ্ধের পথ নির্দেশিকা।
বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে মানুষ যা প্রত্যাশা করেছিল, তাই প্রতিফলিত হয়েছিল সেই ভাষণে।
বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনার পর থেকেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাঙালি।
এদিকে, প্রকাশ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলেও গোপনে সেনা সমাবেশ করে পাকিস্তানি শাসকরা। ২৫শে মার্চ রাতে অতর্কিতে বাঙালীদের উপর চালায় ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যা।
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই সারাদেশে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের জীবন, আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় আসে বাঙালীর। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।