বন্ধ হতে পারে ৫০ লাখ সিম
প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ২ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে এমন তথ্য আগে থেকেই অনেকেরই জানা। যারা অতিরিক্ত সিম নিয়েছেন তাদের সেই অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এরকম অতিরক্তি সিম নেওয়া আছে প্রায় ৫০ লাখ বলে জানা গেছে। আর এসব সিম বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি। আগের ঘোষণা অনুসারে ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল গ্রাহকের নামে থাকা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে তেমন সাড়া পায়নি বিটিআরসি।
সিদ্ধান্ত ছিল প্রিপেইড, পোস্টপেইড মিলে একটি জাতীয় পরিচয়ত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে। অপারেটরদেরকে জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রাহকদেরও বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়, ১৫টির বেশি নিবন্ধন করা সিম অবৈধ বলে ধরা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই অতিরিক্ত সিম নিস্ক্রিয় না করা হলে অপারেটরের মাধ্যমে বিটিআরসি নিজেই তা বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের যেকোনো সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, তারা প্রায় ৫০ লাখ সিমের সন্ধান পেয়েছে যেটি অতিরিক্তের খাতায় চলে যাবে। ফলে এখন এটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা।
সময় পেরিয়ে গেলেও যে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে তাতে গ্রাহক চাইলে তার পছন্দের নম্বরগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন।
তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কয়টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে সেটি জানতে *১৬০০১# ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএসের এনআইডির নম্বরের শেষ চার ডিজিট লিখে দিলেই জানতে পেয়ে যাবেন যে তার নামে কয়টি সিমের নিবন্ধন আছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সব মোবাইল নম্বরের নিবন্ধন হয়। তার আগে অবশ্য একটি এনআইডির বিপরীতে লক্ষাধিক সিমের নিবন্ধনের তথ্যও পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেই শুরু হয় সিমের বায়োমেট্রিক নিবিন্ধন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে এ নিবন্ধন।
এসএইচ/