দি ডক্টরস্ (ভিডিও)
যিনি এক কানে শোনেন তারও দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:১০ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৮ রবিবার
আজ ৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে বরাবরের মতো এবারও দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। এবারের থিম হচ্ছে ‘হিয়ার দ্য ফিউচার’ বা ভবিষ্যৎ শুনি। এই স্লোগান বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান শ্রবণপ্রতিবন্ধী বা শ্রবণহ্রাসসহ শ্রুতিহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র উদ্যোগে ২০০৭ সালের এই দিনে প্রথমবারের মতো পালিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার কেয়ার ডে’ বা আন্তর্জাতিক কর্ণ যত্ন দিবস।
একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয়- ‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস ও আমাদের করণীয়’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু (বিভাগীয় প্রধান, নাক, কান, গলা বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল)।
‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতিলিখন করেছেন সোহাগ আশরাফ।
প্রশ্ন : আজ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এবারের থিম হচ্ছে ‘হিয়ার দ্য ফিউচার’ বা ভবিষ্যৎ শুনি। দিবসটি সম্পর্কে আপনার কাছে কিছু শুনতে চাই!
উত্তর : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র উদ্যোগে ২০০৭ সালের এই দিনে প্রথমবারের মতো পালিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার কেয়ার ডে’ বা আন্তর্জাতিক কর্ণ যত্ন দিবস। তখন শব্দদূষণকে শ্রবণ হ্রাসের প্রধাণ কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রচারণা চালানো হতো। কানের বহিরাংশ না বহিকর্ণ দেখতে ইংরেজি সংখ্যা ৩ বা থ্রির মতো। তাই ইংরেজি বছরের তৃতীয় মাস তথা মার্চ মাসের তৃতীয় দিনকে বিশ্ব কানের যত্ন দিবস হিসাবে পালন করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : এখনও মানুষ কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে জোরে সাউন্ড দিয়ে মিউজিক বাজায়। অনেক সময় দেখা যায় পাশের বাড়িতে রোগী আছে। কিন্তু সেই দিকে কারও কোন খেয়াল নেই। এটা কি ক্ষতিকর নয়?
উত্তর : শব্দের ক্ষেত্রে আইনগত ভাবে ৬০ ডেসিমেল সাধারণভাবে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ডেসিমেল হতে পারবে। যেটা আইনগতভাবে সিদ্ধ। কিন্তু অনেক জায়গাতেই ৯০ থেকে ১০০ ডেসিমেল শব্দ প্রয়োগ করা হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, মহাখালি, গাবতলী, যাত্রাবাড়িসহ অসংখ্য স্থানে দিনে কিংবা রাতে কোন সময়ই শব্দের মাত্র ৯০ থেকে ১০০ নিচে নামে না। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ কানে কম শুনবে। চোখে যখন মানুষ দেখে না তখন কিন্তু সে বুঝতে পারে। কিন্তু কানের রোগটি ধীরে ধীরে হতে থাকে। তাই মানুষ বুঝতে পারছে না যে সে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে।
প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায় কেউ এক কানে শোনেন। কিন্তু চিকিৎসা নেন না, এটা কি ঠিক?
উত্তর : মানুষের একটা ধারণা হচ্ছে যেহেতু একটা কানে শুনি তাই চিকিৎসার কি দরকার। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়। কারণ যে কোনো সময় ওই ভালো কানটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এটা যদি হয় তবে সে কিন্তু সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এমনটা হলে তা কিন্তু শ্রবণশক্তি সহজেই ফিরিয়ে আনা যাবে না।
প্রশ্ন : কানের সমস্যা কি জন্মগতভাবে হতে পারে?
উত্তর : হ্যাঁ। জন্মগতভাবে হতে পারে। শুধু হেয়ারিং লস নয়, মনে করেন নিকট আত্মীয়ের মধ্যে যে বিয়ে হয় সেখানে দেখা যায় জন্মগত যত রোগ রয়েছে তা নতুন প্রজন্মের মধ্যে আসতে পারে। যেমন- সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ যেসব দেশে এই বিষয়টি বেশি দেখা যায় সেখানে হেয়ারিং লস বেশি দেখা যায়।
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও দেখুন :
এসএ/