ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বরফের দেশে ১৫ লাখ পেঙ্গুইন

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার

বরফের মহাদেশখ্যাত এন্টার্কটিকা মহাদেশে ১৫ লাখেরও বেশি পেঙ্গুইন রয়েছে। অ্যাডিলি প্রজাতির ওই পেঙ্গুইনের সংখ্যা যখন সারাবিশ্বব্যাপী কমে আসছে, তখন ওই মহাদেশে পেঙ্গুইনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় এ প্রাণীটির উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে খোদ বিজ্ঞানীদের মধ্যেই বিস্ময় দেখা দিয়েছে।

 বিপজ্জনক দ্বীপের ওই এলাকায় প্রথমদিকে কমপক্ষে ৭ লাখ ৫০ হাজার পেঙ্গুইন পাখির সন্ধ্যান পান বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, ওই পেঙ্গুইনগুলো নতুন বাচ্চা জন্ম  দিতে যাচ্ছে বলেও প্রথম গবেষণায় উঠে আসে। ওই প্রতিবেদন ‘জার্নাল সায়েন্টিফিক’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। মার্কিন গবেষণা দল জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের চিত্র বিশ্লেষণ করে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার নিকটবর্তী ৯টি পাহাড়ি-সামুদ্রীক দ্বীপে তারা বাস করছে। এটা আসলেই বিস্ময়কর, এবং এটা প্রমাণ করে আমরা কিভাবে এই অঞ্চলকে ব্যবহার করছি। গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য এবং ব্রোক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিদার লিঞ্চ বলেন, কি কারণে পৃথিবী থেকে পেঙ্গুইন হারিয়ে যাচ্ছে, এ গবেষণার ফলে তা জানা যাবে।

 এদিকে বৈশ্বায়নের ফলে এন্টার্কটিকা মহাদেশের ১৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে পেঙ্গুইন পাখির সংখ্যা ৭০ শতাংশ হারে কমে গেছে। গত কয়েক দশকে বিস্ময়করভাবে এ সংখ্যা কমার একমাত্র কারণ হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে দোষছেন বিজ্ঞানীরা।

এদিকে আশার কথা হলো পশ্চিম এন্টার্কটিকায় বরফ গললেও পূর্ব এন্টার্কটিকা মহাদেশের পূর্বভাগ আগের তুলনায় পেঙ্গুইনের বসবাসের জন্য বেশি উপযোগী হয়েছে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

জানা গেছে, অ্যাডিলি প্রজাতির পাখিটি পেঙ্গুইনের পাঁচ প্রজাতির একটি, যেটি এন্টার্কটিকা মহাদেশে বাস করছে। গবেষকরা আরও জানায়, একটি অ্যাডিলি প্রজাতির পাখির গড় ওজন তিন থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এটি অন্য প্রাণীর গোস্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। বিশেষ চিংড়ি প্রজাতির মাছ খেয়েই ওরা বেঁচে আছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যাডিলি প্রজাতির পেঙ্গুইনগুলো যে এলাকায় বাস করছে, সেখানে সবসময় বরফের তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের এতই নিচে যে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব না। এমনকি গ্রীস্মকালেও সেখানে গিয়ে গবেষণা চালানো সম্ভব না।

 সূত্র: এএফপি

এমজে/