সংঘবদ্ধ চক্রের অবাধ নিধনে দিন দিন কমছে কচ্ছপ
প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ১২ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩১ এএম, ১২ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার
সংঘবদ্ধ চক্রের অবাধ নিধনে দিন দিন কমছে ‘সাগরের ঝাড়ুদার’ খ্যাত কচ্ছপ। ডিম চুরির কারণে ব্যাহত হচ্ছে, সাগরে জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষাকারী প্রাণীটির প্রজনন। এতে সমুদ্র ও উপকুলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমুদ্রের মরা, পঁচা খেয়ে সাগর পরিশুদ্ধ করে কচ্ছপ। এছাড়াও তাদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার জেলি ফিস। বিষাক্ত একেকটা জেলিফিস প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মাছের পোনা খেয়ে, নষ্ট করে মাছের প্রজনন শৃঙ্খল। সংগতকারনেই কচ্ছপ কমে গেলে সমুদ্রে ঘাটতি পড়বে মাছের।
পরিবেশের পরম বন্ধু এই কচ্ছপের ডিম চুরির শতাধিক চক্র গড়ে উঠেছে কক্সবাজার জুড়ে। এমনকি ডিম পাড়তে বসা কচ্ছপের পেট ফেঁড়ে নৃশংসভাবে ডিম চুরির ঘটনাও ঘটছে। এ চক্রের কারনে প্রকৃতির বিপন্ন প্রজাতিটিকে ঠেলে দিচ্ছে পুরোপুরি বিলুপ্তির পথে।
রাখাইনদের কাছে বিশেষ চাহিদা থাকায় কচ্ছপের ডিমের বড়বাজার বান্দরবন ও কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীগুলো। ইদানিং, মিয়ানমার ও ভারতেও যাচ্ছে কচ্ছপের ডিম।
তবে, শুধু কোস্ট গার্ড নয়- এখনই সমন্বিত উদ্যেগ না নিলে বাংলাদেশ অংশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কচ্ছপ।
জনসচেতনা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকাই পারে বিপন্ন এ প্রজাতিটিকে বাচিঁয়ে, সাগর-জল আর পরিবেশ নির্মল রাখতে।