ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১০ ১৪৩১

খেলোয়াড় ও বিসিবি`র কাছে সমর্থন চান ওয়ালস

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:১২ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার

নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের অন্তবর্তীকালীন কোচ কোর্টনি ওয়ালসের জন্য অনেকগুলো চিন্তার বিষয় রয়েছে। একটি হলো দলের খারাপ পারফর্ম আর অন্যটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। কারণ বোর্ড সভাপতি প্রকাশ্যে বলেছেন, “দলের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকবে।”

আর এই জন্য অন্তবর্তীকালীন এই কোচ দলের খেলোয়াড় এবং বোর্ডের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছেন।

অন্যদিকে আরেক দুঃসংবাদ হল এই ট্রফির লড়াইয়ে থাকছেন না বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়া একাদশ সাজানো কতটা কঠিন সেটা ভালো করে বুঝতে পারছেন ওয়ালস এবং বোর্ড। সাকিবের অভাবটা যে এত দ্রুত পুষিয়ে নিতে পারবে না সেটাও মেনে নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব থাকা ওয়ালশ।

দেশের ক্রিকেটানুরাগীদের হতাশায় ডুবিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে সাকিবের না থাকাটা। যদিও বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে ছাড়াই মাঠে নামার ছক এঁকেছেন রেখেছেন ওয়ালশ। তবে কীভাবে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করবে টাইগাররা সেই ছক গোপন রেখেছেন কোচ।

দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি২০ সিরিজে খালেদ মাহমুদ সুজন ছিলেন দলের ট্রেকটিক্যাল ডাইরেক্টরের ভূমিকায়। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে আবার তাকে দলের ম্যানেজার করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। কিন্তু সুজন জানান, তিনি ম্যানেজার হয়ে শ্রীলঙ্কা যাবেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোর্টনি ওয়ালস জানান গত সিরিজে সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে। এখন সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার পক্ষে তিনি।

শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে অন্তবর্তীকালীন কোচ ওয়ালস বলেন, “আমি আশা করছি বোর্ড সভাপতি, পরিচালক, সিনিয়র এমনিক জুনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবো। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখান থেকে আমার ঠিক কতদূর যেতে চাই।” এসময় তিনি প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে উত্তেজিত বলেও জানান।

খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে কোচ বলেন, “আমি খেলোয়াড়দের বলেছি মাঠে যাও, নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দাও এবং খেলাটা উপভোগ করো।” খেলোয়াড়দের  মাঠে দলীয় পরিকল্পনার সবোর্চ্চ প্রয়োগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমি তাদের বলেছি চাপ নেওয়ার কিছু নেই। আমাদের নিশ্চিন্ত থাকতে হবে এবং কী করতে যাচ্ছি তার দিয়ে মনোযোগ রাখতে হবে। আমি তাদেরকে বলেছি, বাংলাদেশের হয়ে খেলা কতটা গর্বের তা তোমরা অনুভব করো।”

আগামী ৬ মার্চ শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা ও ভারত। এরপর ৮ মার্চ ভারত ও ১০ মার্চ স্বাগতিক শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। বাংলাদেশের অন্য দুটি ম্যাচ ১৪ ও ১৬ মার্চ যথাক্রমে ভারত ও শ্রীলংকার বিপক্ষে। ১৮ মার্চ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। 

কেআই/টিকে