জুন এর মধ্যেই বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি সম্পন্ন হবে
প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ১২ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:১২ পিএম, ১২ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার
ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর অদ্যাবদী স্থায়ী কমিটি ও পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়ায় অনেকটাই হতাশ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। যুগ্ম মহাসচিব আর সাংগঠনিক সম্পাদকসহ যেসব পদে নাম ঘোষনার পর নানা বিতর্ক শুরু হওয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচনে হাইকমান্ড দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো। তবে জুনের মধ্যেই কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন সিনিয়র নেতারা।
ক্ষমতা ও আর জৌলুসের মধ্যে ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজনীতির পালাবদলে কয়েকবার ক্ষমতায় যাওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দলে থেকে আন্দোলনের চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছে দলটি। তবে ৩৮ বছরের রাজনীতিতে এখন অনেকটা সংকটময় সময়ই অতিক্রম করছে বিএনপি।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের অবস্থান হারানোর পাশাপাশি গেল বছরের শুরুতে লাগাতার আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে না পেরে হতাশার সাগরে ভাসে নেতাকর্মীরা। রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন, দল পুনর্গঠন, করে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের আশায় গেল ১৯শে মার্চ করা হয় কাউন্সিল।
তবে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি। আন্দোলনে সক্রিয় আর দলের সংকট মুহুর্তে অবদান রাখা নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার ঘোষণা দিয়ে নেত্বত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও এখনো গঠিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। মহাসচিব, যুগ্মমহাসচিব, সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকের পদে মনোনীত করার পর অন্যান্য পদে নাম ঘোষণা ঝুলে গেছে। এমনকি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন নিয়েও অনেকটা দ্বিধায় আছেন হাইকমান্ড। এসব নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই সমালোচানা থাকলেও নেতারা বলছেন, আন্দোলন বা কর্মসূচী বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি হবে না।
দলের ১৫ স্থরে নেতা নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকার বিষয়ে অবশ্য একটি গঠনতান্ত্রিক সংশোধনী প্রয়োজন বলে মনে করেন নেতারা।
তবে কমিটি গঠনসহ নীতি নির্ধারণী অনেক বিষয়েই বিএনপির নেতাদের মতবিরোধ ও উদাসীনতা স্পষ্ট। এ কারণে সামনের দিনগুলোতেও আন্দোলনের ভবিষ্যত অনেকটাই অনিশ্চিত মনে করেন খোদ দলের নেতাকর্মীরাই।