ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় পাট পাতার চা
প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৫:২২ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৮ রবিবার
পাটের পণ্য আমরা ব্যবহার করি। পাট শুধু ব্যাগজাতকরণ নয়, এর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। আর এখন পাটের পাতা থেকে সবুজ চা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই চা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, রক্তচাপ, কোলেস্টরল, লিভার সুরক্ষা ও জীবাণু সংক্রমণ রোধে বেশ কার্যকরী। এ চা ডায়বেটিক রোগীর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ও রোগীর বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব ও অন্য সব জটিল রোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
সোনালি আঁশ পাট বাঁচিয়ে রাখতে এর পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে পাট পাতার ‘সবুজ চা’ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এ চায়ে ভেষজ গুণ থাকায় বিদেশে চাহিদা আছে। এর মধ্যেই ২০০ কেজি পাটের চা জার্মানিতে রফতানি করা হয়েছে। আরও তিন হাজার কেজি রফতানির আদেশ পাওয়া গেছে। সব ঠিক থাকলে এ বছরই স্থানীয় বাজারে চা বাজারজাত করা হবে।
পাটের চায়ের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির জৈব পানীয় তৈরি প্রকল্পের উপদেষ্টা এইচএম ইসমাইল খান বলেন, গত ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির নুরেমবার্গে বায়ো ফেয়ার নামে অর্গানিক পণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইন্টারট্রপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ‘পাটের চা’ প্রদর্শন করে। এতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তিন হাজার কেজি চা রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গত বছর পর্যন্ত ২০০ কেজি রফতানি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারে চা সরবরাহের উদ্দেশ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে একটি কারখানা ভিত্তি স্থাপন করেছে বিজেএমসি। এ মৌসুমে পাতার সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করে বছরের শেষ দিকে বাজারে পাটের পানীয় ছাড়া যাবে বলে আশা করছি।
জানা গেছে, পাটের চায়ে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা মানবদেহের দুর্বল কোষে ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে দেয় না। এতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া রাসায়নিক বিষক্রিয়ার কারণে লিভার ড্যামেজ ও এবং জন্ডিস প্রতিরোধে সক্ষম এই চা। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে বয়োবৃদ্ধদের সাহায্য করে। এছাড়া আলসার ও ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতেও কার্যকর পাটের চা।
এসএইচ/