রোহিঙ্গাদের নিরাপদ-স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে `নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে`র ওপর জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপ-সহকারী লিসা কার্টিস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও যৌথ স্বার্থ রক্ষায় দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বেশি প্রসারিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন লিসা কার্টিস। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, `দ্বিপক্ষীয় যৌথ স্বার্থসংশ্নিষ্ট বিষয়ের প্রায় সবদিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।`
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপ-সহকারী লিসা আরও বলেন, `যুক্তরাষ্ট্র চায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন। নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে তাদের বসবাসের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা নিরাপদে বসবাসের সুযোগ পায় তাহলেই এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে। স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতেই বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।`
তিনি আরও বলেন, `মিয়ানমার কেন কোন উদ্দেশ্যে সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে, তা জানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ-সংক্রান্ত দলিলাদি পেতেও কাজ করা হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গভীর নজর রয়েছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।`
অন্য এক প্রশ্নে লিসা কার্টিস বলেন, `বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।`
লিসা কার্টিস শুক্রবার ঢাকায় আসেন। এরপর তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। রোববার রাতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ফিরে
যান।
এসএইচ/