গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা
পাট থেকে ২৩২ ধরনের পণ্য তৈরি হয়
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার
দেশে উৎপাদিত পাট থেকে মোট ২৩২ ধরনের পণ্য তৈরি হয়। পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মানেরও। দেশে পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। গবেষণা করে পাটের উন্নত বীজ তৈরি করতে হবে। এভাবে পাট চাষীদের ঠিকমতো সহযোগিতা করা গেলে পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে সোনালী এ আঁশের হাত ধরে। আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়ততে পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘পাটের উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজক ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়। ইআরএফ সভাপতি একুশে টেলিভিশনের পরিকল্পনা সম্পাদক সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান ও কৃষি সাংবাদিকতায় পথিকৃত শাইখ সিরাজ বলেন, পাট চাষে যে বীজ আমরা ব্যবহার করি তার মধ্যে দেশীয় বীজ মাত্র ২০ শতাংশ। ভারতের বীজের তুলনায় আমাদের বীজ ভালো মানের নয়। ফলে আমাদের বীজের উৎপাদন ক্ষমতা কম। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভালো মানের বীজ উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার যখন চাষীদের বীজ সরবরাহ করে সেটি খুব একটা কাজে লাগে না। পাট চাষ শুরু হওয়ার পর বীজ সরবরাহ করা হয়। এটি আরও আগে করা দরকার। আমরা পাট উৎপাদন করছি ঠিক কিন্তু প্রযুক্তির অভাবে জ্ঞানের অভাবে সঠিক ব্যবহার করতে পারছি না। ফলে এ র মূল্য আমাদের চেয়ে বিদেশিরা বেশি পাচ্ছে। পাট শিল্পে যেসব মেশিন আছে সেগুলো পুরনো। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করতে হবে। এতে উৎপাদন খরচও কমবে। আরও লাভবান হওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, পাটের সুদিন ফিরছে। বহির্বিশ্বে আমাদের পাটজাত দ্রব্যের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। চাহিদা মাফিক পণ্য সরবরাহ করা গেলে এবং দেশে এর ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হলে পাট শিল্পের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের অর্থনীতি।
/ এআর /