দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সুন্দরবনের করমজল
এইচ.এম.মইনুল ইসলাম, বাগেরহাট
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ইকোটুরিস্ট করমজলে বানর-হরিণ ও কুমিরসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। সুন্দরবনের করমজল দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থীরা আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজলে এই ইকোটুরিস্ট এলাকায় ঘুরে আনন্দ উপভোগ করেন।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, করমজলে হরিণ ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রে যদি ডলফিনের এক্সিভিশন, সুন্দরবনে যে অরকিড আছে সেগুলোর গার্ডেন করা, বাটার ফ্লাইয়ের গার্ডেনসহ আরও একটু বৈচিত্র্য আনতে পারলে আরও দর্শানার্থী বাড়বে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থী আব্দুল মমিন বলেন, আমরা ৪৬ জনের একটি টিম আসছি। বইতে পড়েছি সুন্দরবন সম্পর্কে, কিন্ত আজ স্বচক্ষে দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এখানকার প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য আলদা বৈশিষ্ট্য না দেখলে বুঝানো যাবে না। অনেক কিছু দেখলাম, অনেক মজা করেছি।
ফরিদপুর থেকে আসা গৃহবধূ তায়শা ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে প্রথম এসে হরিণ, বানর, কুমির, বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ও নানা পশুপাখি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। যারা সুন্দরবনে আসেননি, তারা সুন্দরবন ঘুরে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এই বনের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তবে অনেক দর্শনার্থীদের অভিযোগ, দর্শনার্থীদের বসার টুলের ব্যবস্থা নেই, ফুট ট্রেইল ও ওয়াচ টাওয়ারও নাজুক । এ কারণে দর্শনার্থীদের ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করতে হয়। এখানে অবকাঠামোর উন্নত ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীরা ভালোভাবে প্রাকৃতিক ঘুরে দেখতে পারতো।
লোকালয় থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পূর্ব সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী করমজলে ইকোটুরিজম সেন্ট্রার হওয়ায় প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসছে নৈসর্গ উপভোগ করতে। বনের বানর, হরিণ ও কুমিরসহ পশুপাখি খুব কাছ থেকে দেখা ও স্পর্শ করা যায়। এছাড়া বনের সৌন্দর্য দেখার জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এ কারণে সহসাই বনের দৃশ্যগুলো দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ।
কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী ইকোটুরিজমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এসএসসির পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার দর্শানর্থীদের সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। পর্যটক মৌসুমে এখানে দুটি ঘাট যথেষ্ট নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে নতুন কিছু অবকাঠামো নির্মাণের। যাতে ঘুরতে এসে কোন দর্শনার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।
এসএইচ/