দক্ষিণ কোরিও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কিমের সাক্ষাৎ
প্রকাশিত : ০৬:৪২ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:২৬ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার
দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং এ আজ সোমবার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কিমের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন দেশটির গোয়েন্দা প্রধান সুহ হুন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউ অং। আজ সোমবার দুই দিনের সফরে তারা পিয়ং ইয়ং এ পৌছালে রি সন গন তাঁদের স্বাগত জানান বলে খবর প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় রেডিও স্টেশন।
রি সন গন দুই কোরিয়ার পুনঃমিলনের বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তবে কিমের সাথে প্রতিনিধি দলের কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কোন পক্ষই। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে আলোচনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার হস্তক্ষেপ চেয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে পিয়ং ইয়ং এর উদ্দেশ্যে সিউল ত্যাগের পূর্বে চুং ইউ অং এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এর বার্তায় তিনি উত্তর অংশে পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেন, “কোরিয়ান অঞ্চল পারমাণবিক বোমা থেকে মুক্ত করতে দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা এবং সম্পর্কের উন্নয়নে কীভাবে কাজ করা যায় সে নিয়েই আমরা আলোচনা করব”।
“উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াই শুধু নয় বরং উত্তর কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার জন্য বিস্তারিত আলোচনার পরিকল্পনা করছি আমি”।
যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় আগ্রহী নয়
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া যতই আলোচনা করুক না কেন পিয়ং ইয়ং এর সাথে আলোচনার জন্য এখনই প্রস্তুত নয় ওয়াশিংটন।
আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক বোমার নিরস্ত্রীকরনের যে পুর্ব শর্ত যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে সে বিষয়ে এখনও অনড় মার্কিন প্রশাসন। গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এই শর্তের পুনরাবৃত্তি করেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার জন্য নিজেদের ‘প্রস্তুত’ হিসেবে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব শর্তকে ‘বিভ্রান্তিকর’ হিসেবে মন্তব্য করে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “আমরা আলোচনায় বসতে আগ্রহী এমনটা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ আমাদেরকে এমনটাই ভাবতে বাধ্য করে যে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসতে চায় না”।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস// এআর