বিএনপির রাজনীতিতে সাংগঠনিক দুর্বলতাই বেশী আলোচিত
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ১৩ মে ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৫০ পিএম, ১৩ মে ২০১৬ শুক্রবার
দল গুছানোর পরিবর্তে পদ বাণিজ্য, দলীয় শৃংখলাভঙ্গ আর তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক দুর্বলতাই এখন বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশী আলোচিত। যদিও এসব অভিযোগকে অপপ্রচার বলে দাবি করছেন নেতারা। তবে, রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচির পরিবর্তে পদ ও ক্ষমতা নির্ভর হয়ে পড়ায় দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বারবার সরকারি বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলেও রাজপথের কর্মসূচিতে জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি বিএনপি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্দোলন থেকে কিছুটা পিছু হটে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। তবে এসব নির্বাচনেও অভিযোগ উঠে মনোনয়ন বাণিজ্য আর শৃংখলা ভঙ্গের। দেশের বিভিন্ন স্থানে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাঠ পর্যায়ের আনেক নেতাকে বহিস্কারও করা হয়েছে।
আর নির্বাচন ও কমিটি পুনর্গঠনের বাণিজ্যে জড়িয়ে গেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দপ্তরের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মকর্তার নাম। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আলোচিত দুই নারী নেত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে চেয়ারপার্সনের যেতে বারণ করা হয়েছে। আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে হাইকামান্ড। এসব নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আছে মুখরোচক নানা আলোচনাও।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এসব অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারেরই অংশ।
তবে সবগুলো কমিটি ঘোষণা দেয়া হলেই শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানায় দলটির নেতারা।
আর রাজনৈতিক দলগুলোতে এসব পদবাণিজ্য ও শৃংখলার অভাবে সুশাসন ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। রাজনীতিকে সুবিধা অর্জনের পথ মনে করা হয় বলেই দলগুলোতে দূর্নীতি বাড়ছে বলেও মত তার।
সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় স্বার্থের চেয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যতে পারলেই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।