রসু খাঁসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রকাশিত : ০৯:২২ পিএম, ৬ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার
এক সময়ের আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত পারভীন হত্যা মামলায় তাদের এ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ দণ্ডাদেশ দেন।
রসু খাঁ ছাড়া অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রসু খাঁর ভাগিনা জহিরুল ইসলাম ও একই বাড়ির ইউনুছ। এদের মধ্যে ইউনুছ পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায়।
এর আগে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল আলোচিত সাহিদা হত্যা মামলায় রসু খাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের আটকের পর এ নিয়ে দুইটি মামলায় রসু খার রিরুদ্ধে রায় দিল আদালত। দুইটি রায়েই রসুখাঁর মুত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
১১ নারী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রসু খাঁ বর্তমানে চাঁদপুর জেলা কারাগারে আছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালবাসার কাছে হেরে গিয়ে জিদে এক সময় সিরিয়ার কিলার হয়ে যান। ফ্যান চুরি করে ধরা খাওয়ার পরে পারভীন হত্যা মামলার মাধ্যমেই আলোচনায় আসেন রসু খাঁ।
চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর এক এক করে তার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। একে একে ১১ জন নারীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে রসু খাঁ। সে জানায়, তার ইচ্ছা ছিল ১০১ নারীকে খুন করে সিলেট মাজারে গিয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার। রসুখাঁ যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী।
একে/টিকে