ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৩ ১৪৩১

‘বিএনপি ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে’

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন,নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। এবার নির্বাচনে না এলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। স্বয়ং আমেরিকা এদেশের নির্বাচনকে মেনে নিতে না পারলেও সরকার এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশে আগামীতেও সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে।
আজ বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ায় এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে আওয়ায়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমির হোসেন আমু বলেন, `ধর্মের ঢাক বাতাসে নড়ে`।  বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তির ডাক। তাই তার এ ভাষণের মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের চাকাকে পেছনে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়।
৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, এতোদিন পরে হলেও ধর্মের ঢাক আজ আন্তর্জাতিকভাবে বেজে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এলো। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে।
ইতিহাসের উদাহরণ টেনে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু যে চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা আমরা লাভ করছি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী রাজনীতির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিনের সাধনা, দীর্ঘদিনের কর্মকাণ্ড অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য যে দিনটির অপেক্ষা করেছিলেন, সেই দিনটি হচ্ছে ৭ মার্চ।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, অনেকে সেই নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। কেউ বলেছিল,  নির্বাচন হবে না। কেউ বলেছিল, ভোটের আগে ভাত চাই। কেউ বলেছিল, ভোটের বাক্সে লাথি মার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্বাচন চেয়েছিলেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে পাকিস্থানের সংবিধান নিয়ন্ত্রনের জন্য একক অধিকার পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ, হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
/ এআর /