ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

পৃথিবীর কোন ভাষণের সঙ্গে ৭ই মার্চের তুলনা হয় না: তোফায়েল আহম্মেদ

প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮ বুধবার

পৃথিবীর কোন ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কোন তুলনা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ।

আজ বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।  বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।

তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেদিন হৃদয়ের গভীরতা থেকে বক্তৃতা করেছিলেন, যে  বক্তৃতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃত আজ সে ভাষণ।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা  আব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতা নিয়ে তুলনা করতাম- সে বক্তৃতা ছিল তিন মিনিটের। মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্য ছিল ১৭ মিনিটের, যা প্রথম লিখিত ছিল এবং পরে অলিখিত। পৃথিবীর কোন ভাষণের সাথে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের তুলনা হয় না। কারণ ব্যক্তিভাষণের মধ্যদিয়ে একটি জাতির জন্ম হয়েছে, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন ভাইয়েরা আমার বলে সম্বোধন করে বক্তৃতা শুরু করলেন-তখন এই সোহরওয়ার্দী উদ্যান ছিল জনসমুদ্র। লাঙ্গলের ফালা ফেলে হাতে লাঠি নিয়ে এসেছেন কৃষক। শ্রমিক কারখানা বন্ধ করে হাতে  লাঠি নিয়ে এসেছিল, নৌকার মাঝি হাতে বৈঠা নিয়ে এসেছিল। আমরা ৭ই মার্চের জনসভায় সেই দৃশ্য দেখতে পাই।

তিনি এ ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে তিনি একটি মোহনায় এনেছিলেন। তিনি ছিলেন বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতা। শত্রু কি করতে পারে তাও বঙ্গবন্ধুর জানা ছিল।

তিনি হয়তো ভেবেছিলেন। হয় তিনি থাকবেন না। না হয় তাকে হত্যা করা হবে। তাই তিনি বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। মনে রেখ, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ’।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের এখানে দাঁড়িয়েই বঙ্গন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন।  এখানেই পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। তিন বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে যখন  তিনি দেশটাকে গুছিয়ে নিতে শুরু করলেন। তখনই ঘাতকদের নির্মম গুলিতে তার প্রাণ দিতে হলো। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার মধ্যে শেখ রেহেনা সে সময় দেশে ছিলেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে দায়িত্বভার তুলে দিলাম।

বঙ্গবন্ধুর দু’টা স্বপ্ন ছিল। একটি হলো দেশকে স্বাধীন করা, অন্যটি হলো দেশকে অর্থনৈতিক তথা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করা। একটি তিনি সম্পন্ন করেছেন। অন্যটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। যা সম্পন্ন করার জন্য আমরা জাতির কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশ। প্রধানমন্ত্রীর সততা ও নিষ্ঠাপূর্ণ কাজে আমরা আগামী ২৪ সালে হবো উন্নয়নশীল দেশ।

 

আরকে//