ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

দাঙ্গা প্রতিরোধে সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করল শ্রীলংকা

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮ বুধবার

শ্রীলংকার ক্যান্ডিতে চলমান বৌদ্ধ-মুসলিম সহিংসতার মুখে বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করেছে দেশটির সরকার। বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হচ্ছে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ভাইবার এবং হোয়াটস অ্যাপ।

শ্রীলংকার টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন আজ বুধবার এক আদেশে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বন্ধ করার আদেশ দেয়। আগামী তিন দিন বন্ধ থাকবে এসব মাধ্যমগুলো।

মন্ত্রী পরিষদের মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ফেসবুকে মুসলিমদের ওপর হামলার আহবান সম্বলিত পোস্ট আসার পরপরই সরকার ইন্টারনেট অপারেটরগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে আগামী তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে”।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করেন। তবে এতেও দমন করা সম্ভব হয়নি জাতিগত এই সহিংসতা।

জরুরী অবস্থার মাঝেই আজ বুধবার ক্যান্ডির কেন্দ্রীয় এলাকার দুইটি মসজিদ এবং প্রায় ১১টি মুসলিম মালিকানাধীন দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।

তবে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা হামলা করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার বিষয়টিকে এখনও মেনে নেয়নি। হামলাকারী গোষ্ঠীর পরিচয় না দিয়ে দেশটির মন্ত্রী পরিষদের সদস্য রউফ হাকিম বলেন, “যারাই ধর্মীয় বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে”।   

শ্রীলংকায় জাতিগত সহিংসতার ইতিহাস বেশ পুরনো। দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলো বরাবরই সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে বলে অভিযোগ আছে। এসব তামিলদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও আছেন।

তামিল বিদ্রোহী নেতা ভিলুপিল্লাই প্রভাকরণের নেতৃত্বে ১৯৮৩ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে চলে আসা আন্দোলন ২০০৯ সালে শেষ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বৌদ্ধ বনাম মুসলিম সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

মুসলিমরা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মের অনুসারি করছে এমন অভিযোগে নতুন করে মুসলিমদের ওপর হামলা চালায় সিংহলিজ বৌদ্ধ সংঘ।

সূত্রঃ নিউ ইয়র্ক টাইমস/এশিয়ান নিউজ

//এস এইচ এস//