ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘এখনই কোটা সংস্কারের পরিকল্পনা সরকারের নেই’

প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংরক্ষণ শিথিল করার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরাসরি সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।


এই প্রজ্ঞাপন কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা কোটা কমিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনার অংশ কি না— জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব সাংবাকিদের বলেন, ‘বর্তমানে বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ধরনের কোটার জন্য ৫৭ ভাগ পদ সংরক্ষিত আছে। এই কোটা কমিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনাও সরকারের নেই। তবে মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে এমনিতেই কোটা ১০ শতাংশ কমে আসবে।’

সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিদিনই তাদের মধ্য থেকে তিন-চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন। অনেকে ব্যক্তিগত বা অন্য কারণেও চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে প্রতিদিনই সরকারি পদ শূন্য হচ্ছে। ফলে সুনির্দিষ্টভাবে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা বলা যাবে না।’

তবে প্রতিদিনই সরকারি পদ শূন্য হলেও নিয়োগ ক্ষেত্রে ‘টেকনিক্যাল’ কিছু জটিলতা রয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি একটু জটিল ও সময়সাপেক্ষ। ফলে প্রতিদিনই পদ খালি হলেও টেকনিক্যাল কারণে জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কোটা শিথিল হওয়ার ফলে এখন নিয়োগ কিছুটা হলেও সহজ হবে।

উল্লেখ্য, কোটা সংরক্ষণ শিথিল রেখে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০১০ সালের আদেশে মিডওয়াইফের ছয়শ পদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্সের চার হাজার পদ পূরণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিথিল করা হয়েছে। এখন এই পদগুলোতে মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০১৬ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা সেলের সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।

এসএইচ/