নারীদের শুধু কুটির পণ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না: স্পীকার
প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
দেশের সম্ভাবনাময়ী নারী উদ্যোক্তাদের শুধু কুটির শিল্পে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, নারীদের আরো নতুন নতুন সম্ভাবনাময় দিকে নজর দিতে হবে। বহুমুখী পণ্যের উৎপাদক হতে হবে। তবেই সমাজে নারীর অংশগ্রহণ বহুগুণে বেড়ে যাবে। সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদান বাড়বে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে ‘ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনী মেলা-২০১৮’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সেলিম প্রমুখ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের সবধরণের সুযোগ-সুবিধো দিচ্ছে। সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের এগিযে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু কাঁথা সেলাইয়ের মতো কুটির শিল্পে গোন্ডিবদ্ধ থাকলে হবে না। ডে-কেয়ার সেন্টার, শপিংমল বা আরো বড় কোনো নতুন বিষয়ের উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলে তা কখনও ডিফল্ট হয় না। নারীরা জানে তাদের ঋণ কীভাবে শোধ দিতে হয়। তাই ব্যাংকারদেরও নারীদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, নারীদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো এগিয়ে আসতে হবে। এসএমই খাতের ২৫ শতাংশ ঋণের মধ্যে নারীর জন্য নির্দিষ্ট ১০ শতাংশ ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে নারী উদ্যোক্তার নামে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক যাচাই-বাছাই করেন। তারা বোঝার চেষ্টা করেন নারীর পেছনে কোন পুরুষ সহযোগিতা করছে কীনা, বা পুরুষ উদ্যোক্তা হয়ে নারীর নামে ঋণ নিচ্ছে কী না। কিন্তু ঘটনা যাই-ই হোক ব্যবসায়ে নারীর অবদান থাকলেই ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে হবে। এতোটুকু দেখলেই হবে ঋণটা উঠে আসবে কী না।
তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়ানো দরকার । সেজন্য সমাজের প্রতিটি কাজে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়ছে। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে আজ নারীর অংশ বাড়ছে। আমাদের গ্রামীন পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা আরো বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সেলিম বলেন, বর্তমানের জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ২০ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশ হতে এটা ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। আর তা করতে হলে নারী উদ্যোক্তাদের আরো বেশি পণ্যের উৎপাদন ও সমাজের উন্নয়ন এগিয়ে আসতে হবে।
আরকে//