ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পুরো বিশ্ব ৭ মার্চের ভাষণে গর্বিত: প্রধানমন্ত্রী [ভিডিও]

প্রকাশিত : ০৭:৫৩ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৫ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “৭ মার্চের ভাষণ কোনও লিখিত ভাষণ না, কোনও রিহার্সেল দিয়েও তৈরি করা ভাষণ নয়। এই ভাষণ দীর্ঘ ২৩ বছরের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। এই ভাষণের আবেদন যুগ যুগ ধরে থাকবে।”

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার বিকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘ ২৩ বছরের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে বলেন, “পৃথিবীর যে কোনো ভাষণের চেয়েও এই ভাষণ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। এর কোনো তুলনা হয় না। এটি অতুলনীয় ভাষণ। ১৯৭১ সালের পর টানা ২১ বছর এ ভাষণ বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এ ভাষণ আজ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ণ দিক নির্দেশনা ছিল এ ভাষণে।  ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন বাজানো হতো। এই ধারা ১৯৭৫ সালের পর হারিয়ে গিয়েছিল। বাঙালি জাতি তা আবারও ফিরে পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্ব এ ভাষণ নিয়ে আজ গর্বিত।”

ছয় দফাকে মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছয় দফার বিপরীতে একটি আট দফা দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে দলের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফা থেকে আমরা বিচ্যুত হবো না।” 

এর আগে আগরতলা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। এ হত্যাই ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনার একটা অংশ। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। ফলে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।এরপর তিনি লন্ডনে যান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিটিং করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে কিন্তু পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই তিনি সেখানে বসেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।”

“আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু জেল থেকে বের হয়ে আসার পর প্রায়ই বলতেন; আমার ছয় দফা মানে বলেই তিনি একটা আঙুল দেখাতেন। তখন এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা নিষেধ ছিল। আমরা এ কারণে ইশারাতেই সব বুঝে যেতাম।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে মার্শাল-ল দেওয়ার সময়েই তিনি স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ছাত্রলীগকে দিয়ে ১৯৬২ সালের পর থেকেই একটা ‘নিউক্লিয়াস’ তিনি ফর্ম করেছিলেন। প্রতিটি জেলায়-মহকুমায় তিন সদস্যের কমিটি ছিল। স্বাধীনতার প্রস্তুতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তাদের নিয়েই মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়।”

কেআই/টিকে