জাতিসংঘের সামনে বিক্ষুব্ধ বাঙালীর অবস্থান [ভিডিও]
প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮ শনিবার
১৯৭১ সালের ১০ই মার্চ অফিস, আদালত ছিল বন্ধ। অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানে চলে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি। এ’দিন জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনেও অবস্থান নেয় প্রবাসী বিক্ষুব্ধ বাঙালীরা। শ্লোগান দেয়া হয় নিরস্ত্র বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে।
একাত্তরের এই দিনে সামরিক ফরমানে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দেন, সরকারি কাজে বাঁধা দেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ফল হয় উল্টো। গোটা পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় বিক্ষোভ; রাজপথে নামে লাখো জনতা।
বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলে রণ প্রস্তুতি। এদিকে, পাকিস্তানী বাহিনীর গুলিতে বাড়তে থাকে শহীদদের সংখ্যা। একেকটি মৃত্যু বাঙালীর প্রতিশোধের নেশা আরও বাড়িয়ে দেয়। ঢাকা সহ বড় বড় শহরে শুরু হয় চোরাগুপ্তা হামলা।
পূর্ব পাকিস্তান হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে বাকি থাকেনি পশ্চিমা শাসকদেরও। যে কোন মূল্যে স্বাধীনতা ঠেকাতে ষড়যন্ত্রের নীলনক্সার বিস্তার ঘটাতে থাকেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। গোপনে পূর্ব পাকিস্তানে মজুদ করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। চট্টগ্রামে সেসব অস্ত্র খালাসে অনিহা জানায় বাঙালি সৈন্যরা।
মার্চের এই সময়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিল্পী সমাজ। শহীদদের স্মরণে শোক মিছিল করেন তারা। ক্ষোভের দাবানল ছড়ায় চারদিকে।
এদিন, জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ঢাকা থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তা- কর্মচারি সরিয়ে নিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না।
অসহযোগ আন্দোলনের তীব্র গতির মুখে পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রিকাগুলো উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।
১০ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ৪০ কয়েদী পালিয়ে যাবার সময় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। আহত হয় ২৫ জন। সিনেমা হলগুলোতে চলচ্চিত্র প্রদর্শন শেষে বাজানো হয় জয় বাংলা, বাংলার জয় গানটি।