হাজারো ঘর ভস্মিভূত
মিরপুরে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
প্রকাশিত : ০৮:১৮ এএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:৩৬ এএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার
মিরপুর ১২ নম্বর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভোর ৭টা নাগাদ আগুনের লেলিহান শিখা বন্ধ হতে দেখা যায়। যদিও তখন পর্যন্ত পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল বলেন, এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তাদের ২৩টি ইউনিট কাজ করে। সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’ আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসার রাস্তাগুলো এতই সরু যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। এরপর তখন অনেক বাতাসও ছিল।’
আগুনের সূত্রপাত এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বস্তিটিতে যারা থাকত তাঁদের বেশির ভাগই পোশাক কারখানায় কাজ করে। প্রায় সবার ঘরেই পোশাকের ঝুট এবং প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু ছিল। যার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা তদন্তে শিগগিরই কমিটি গঠন করা হবে।’
হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর শাকিল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একজন নারীর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত আরও পরে জানা যাবে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াছ আলী মোল্লা জানান, বস্তিতে থাকা প্রায় সব ঘরই আগুনে পুড়ে গেছে। এসব ঘরে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করত। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকমের সাহায্য করা হবে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’ এ ছাড়া যাদের ঘর পুড়ে গেছে তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন স্থানীয় এই সংসদ সদস্য।
বস্তির বাসিন্দা শাহ আলমের ভাষ্যমতে রোববার দিবাগত রাত ৩টার কিছু আগে তারা আগুন দেখতে পান। সেসময় ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে পারলেও ঘরের মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি। বেশির ভাগ বস্তিবাসীর দশাই তার মতো বলেই তিনি জানান।
এর আগে, মিরপুর ১২ নম্বরে ইলিয়াছ মোল্লা বস্তিতে রোববার দিবাগত রাত ৩টায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পর তা খুব দ্রুত পুরো বস্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরুতে ১৪টি ইউনিট কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে আরও ৯টি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। প্রায় ৭০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা বস্তিটিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টিন এবং কাঠের তৈরি ঘর ছিল।
এসএইচ/