আসাদ বাহিনীর হামলায় আরও ৪২ জন নিহত
প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার
সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতায় নিধনযজ্ঞ চলছেই। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দাবি অগ্রাহ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আসাদ বাহিনী। আজও দেশটির পূর্ব ঘৌতায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৪২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে আসাদ বাহিনীর সদস্যরা।
বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘৌতার ডুমাতে বিমান হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আসাদ বাহিনী এবার পূর্ব ঘৌতা ছেড়ে ঘৌতার প্রায় সব অঞ্চলেই হামলা শুরু করতে যাচ্ছে। পূর্ব ঘৌতায় সাফল্য পাওয়ার পর এবার হামলার বিস্তার বাড়িয়েছে আসাদ। ভ্লাদিমির পুতিনের দৈনিক ৫ ঘণ্টার হামলা বন্ধের প্রস্তাবও কানে তুলছেন না আসাদ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সিরিয়ার মুদেইরা শহর দখলে নিয়েছে আসাদ বাহিনীর সদস্যরা। মুদেইরা থেকে ঘৌতার অন্যান্য অঞ্চলে হামলা চালানো আসাদ বাহিনীর জন্য সহজ বলে জানিয়েছেন সরকারি বাহিনীর এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা। এদিকে মুদেইরা ছাড়াও দামাস্কাসের মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর মেসরাবাও দখল করেছে সিরীয় বাহিনী। আর এরপরই ডুমা শহরকে ঘিরে ফেলেছে আসাদ বাহিনী।
এদিকে মুদেইরাতে আসাদ বাহিনী ঢুকে পড়ার পরই বিদ্রোহীরা ডুমা এবং হারাসটার একেবারে প্রান্তীয় অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছেছে। এতে ডুমা ও হারাসটে শহরের মূল নিয়ন্ত্রণও আসাদ বাহিনীর হাতের নাগালে চলে এসেছে। এদিকে রুশ বাহিনীর সহায়তায় আসাদ বাহিনীর হামলায় পূর্ব ঘৌতায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়:
এদিকে সিরিয়ার সরকার বাসার আল-আসাদ এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলেও এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী কেবল পূর্ব ঘৌতায় ৪ লাখ মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছে। খাবার সংকট ও ওষুধ সংকটসহ প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুণছে সিরীয় নাগরিকেরা। এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, পূর্ব ঘৌতা তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অংশ তিনটি হলো-ডুমা এবং এর চারপাশ, পশ্চিমের হারাসটা এবং দক্ষিণের বাকি অংশ।
এরই মধ্যে পূর্ব ঘৌতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালানো হামলায় অন্তত ১ হাজার ৯৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২৭ জন শিশু ও ১৪৫ জন নারী রয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় পঙ্গুত্বসহ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৭ জন। এরই মধ্যে আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর সেই রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া, এমন অভিযোগও করেছে হোয়াইট হাউজ।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/