শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের ওপর হামলায় জাতিসংঘের উদ্বেগ
প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:২০ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার
শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত রোববার জাতিসংঘের এক ঊর্ধতন কর্তা বলেন, শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি ও পবিত্র মসজিদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ন্যক্কারজনক। কোনভাবেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।
শ্রীলঙ্কায় সফররত জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেফরি ফেটম্যান শ্রীলঙ্কার সরকারকে বলেন, মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও মসজিদে হামলার পেছনে যারা জড়িত, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে।
দেশটিতে সফরকালে মুসলমানদের ওপর হামলা ও তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান ফেটম্যান। এদিকে স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের এই ঊর্ধতন কর্মকর্তা। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, লঙ্কান সরকারকে অবশ্যই সহিংসতা বন্ধে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, এ সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গত এক সপ্তাহধরে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে বৌদ্ধ-ধর্মাবলম্বীরা। মুসলিমদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক বৌদ্ধ-ধর্মাবলম্বীর নিহত হওয়ার পরই সহিংসতায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। এরপরই বৌদ্ধরা মুসলিমদের ঘরবাড়ি, মসজিদে হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় দুই মুসলিম নাগরিককে হত্যা করে উগ্র বৌদ্ধরা। এরই মধ্যে শতাধিক মুসলিম সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই সরকার ক্যান্ডিতে জরুরি কারফিউ ও অবস্থা জারি করে। তবে কারফিউ জারি করলেও বৌদ্ধরা সরকারের কারফিউকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুসলিমদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন মুসলিম পুরুষকেও।
এরই মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা শিরিসেনা গত শনিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এদিকে সহিংসতা ঠেকাতে ক্যান্ডির রাস্তায় রাস্তায় সেনা সদস্যরা এখনো টহল দিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটিতে আবারও গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে, যদি সহিংসতা বন্ধ করা না যায়। উল্লেখ্য, দেশটি এখনো তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/