বিসিএসে কমছে নারীর সংখ্যা
প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার
ধারাবাহিকভাবে কমছে বিসিএস চাকরিতে নারীর হার। গত চারটি বিসিএসে দেখা গেছে নারীদের চাকরি পাওয়ার হার ৩৮ দশমিক ২৬ শহতাংশ থেকে কমে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশে এসেছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৭ পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সরকারি চাকরিতে বিসিএসকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই চাকরির মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্রসহ দেশের ২৭ ধরনের ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।তারাই মূলত দেশ পরিচালনায় সরকারি কাজে মূল নেতৃত্ব দেন। বর্তমানের সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতো বিভিন্ন পদে নারীদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।যেখানে অব্যাহতভাবে কমছে নারীর অংশগ্রহণ। এ পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছরে বিসিএস নারীদের চাকরি পাওয়ার হার কমে যাওয়ার কারণগুলো বিশ্লেষণের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পিএসসির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক নারী বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন।তবে যত ধাপ যেতে থাকে, তাদের সংখ্যা কমতে থাকে।যেমন ৩৬তম বিসিএস পরী্ক্ষায় মোট আবেদনকারী ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ২৮২জন। সেখানে পুরুষ প্রায় ৬৭ শাতংশ এবং নারী প্রায় ৩৩ শতাংশ।অথচ নারীদের চাকরি পাওয়ার হার ২৬ দশমিক ২২শতাংশ। এর আগের বিসিএসে নারী প্রার্থী ছিলেন ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তবে ৩২তম বিসিএসে (বিশেষ) নারীরা বেশি চাকরি পান। এ বিসিএসটি মূলত কোটার জন্য ছিল।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি চাকরিতে কর্মরত একাধিক নারী কর্মকর্তা বলেন, যেখানে শিক্ষার প্রায় সব স্তরেই এখন নারী পুরুষের সমতা অর্জিত হয়েছে বা হচ্ছে; সেখানে নারীদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় বাধা আছে, সেগুলো চিহ্নত করে প্রয়োজনীয ব্যবন্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বিসিএসে নারীদের চাকরি পাওয়ার হার কমার কারণটি বিশ্লষণ করে বলতে হবে। তবে মেধা তালিকায় নারীদের চাকরি পাওয়ার অগ্রগতি ভালো।
আরকে// এআর