ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নির্বাচনের বছরে বর্ধিত বাজেট চান এমপিরা

প্রকাশিত : ০২:১৯ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

নির্বাচনের বছরে ভোটের বাজেট চান সংসদ সদস্যরা। সেজন্য নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণে বাড়তি বরাদ্দ চান তারা। আবার রাস্তাঘাট মেরামতেও অনেক সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ তাদের। স্কুল-কলেজ নির্মাণে আরো বরাদ্দ চান সাংসদেরা। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন তারা।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল রোববার এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এসব দাবি জানান। অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সরকারি হিসাব এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এ সভা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নির্বাচনের বছরে বাড়তি চালের দামের কারণে সমস্যায় পড়তে হবে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এক কেজি চাল উৎপাদন করতে কৃষকের ২২ থেকে ২৩ টাকা খরচ হয়।বিভিন্ন পর্যাযে মুনাফা ধরে বাজার পর্যাযে এক কেজি চালের দাম হওয়া উচিত ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। একন তো ৪০ টাকার নিচে চাল পাওয়া যাচ্ছে না।

চাঁদপুর এমপি রফিকুল ইসলাম বলেন, চালের দাম কমানো উচিত। এতে গরিব মানুষ উপকৃত হবে। বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জনগণ দেখছেন, রাস্তাঘাটে বরাদ্দ কমে গেছে। এটি ভোটের সময় ক্ষতিকর হয়ে যবে। তনি আরো বলেন, আরো স্কুল ভবন নির্শাণ করা দরকার। ঠিকাদারদের কাজের মান খারাপ। যে ভবন ৪০ বছর টেকসই হওয়ার কথা, তা এখন ৫ বছরেই নষ্ট হয়ে যায়। সড়কেরও একই অবস্থা।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাংসদ এ এফ এম রুহুল হক মনে করেন, রাস্তাঘাট মেরামতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।তিনি বলেন, ঠিকাদারেরা আমাদের (এমপিরা) বাসায় বসে থাকেন, বড় বড় কথা বলেন।নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের কিছু বলতে পরেন না। এ ঠিকাদারেরা যে রাস্তার কাজ করেন, এর মান খারাপ হয়।

সাংসদদের বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা ও আওতা দুটিই বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কেনাকাটায় পচা মাল কেনা হয়, এটা সত্যি। এটা কীভাবে সমাধান করব, জানি না। তবে যারা কেনেন, তারাই এটার সমাধান করতে পারবেন।

আরকে// এআর