ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নিজেকে ভাঙছেন মারিয়া নূর

প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

মারিয়া নূর। উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী। মিডিয়ায় তার ক্যারিয়ার শুরু হয় রেডিও জকি (আর জে) হিসেবে, ২০০৯ সালে। টিভি পর্দায় তার আবির্ভাব ঘটে ২০১২ সালে। এটিও ছিল উপস্থাপনা। তবে লাবণ্যময়ী এই তরুণী প্রথম পরিচিতি পান ‘এখানেই ডটকম’-এর বিজ্ঞাপনে ‘ইয়াশনা’ নামটি দিয়ে। এরপর জিটিভির ‘ক্রিকেট এক্সট্রা’য় সাবলীল উপস্থাপনার মাধ্যমে মারিয়া নিজেকে নিয়ে গেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

উপস্থাপনা করেও যে জনপ্রিয় মুখ হওয়া যায় তার অন্যতম উদাহরণ মারিয়া নূর। তবে উপস্থাপনা দিয়ে মিডিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করলেও নাটক ও বিজ্ঞাপনে অনেকের নজর কেড়েছেন। এরপরও মারিয়ার ভালো লাগার জায়গা উপস্থাপনাই। বিভিন্ন কর্পোরেট অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি টিভি উপস্থাপনা করেও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

যদিও মারিয়া তার ক্যারিয়ারে ক্রিকেটের নানা ধরণের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তবে এখন সেই ধরণের অনুষ্ঠান থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন। আর তার কারণ নিজেকে ভাঙার চেষ্টা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিপিএলের পর ক্রিকেটের কোনো আয়োজনে অংশ নেইনি। কয়েক বছর ধরে ‘ক্রিকেট এক্সট্রা’, ‘ক্রিকেট ম্যানিয়া’, ‘ক্রিকেট থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’ অনুষ্ঠানগুলোয় এক নাগাড়ে কাজ করেছি। এ জন্য কিছু দিনের বিরতি নিয়েছি। যাতে চাপমুক্ত থেকে আরও ভিন্ন ধরনের কিছু করা যায়।’

মারিয়া আরও বলেন, ‘উপস্থাপনায় নিজেকে ভাঙতে নানা ধরনের অনুষ্ঠান করছি। কারণ কাজে ভিন্নতা না থাকলে একঘেয়েমি চলে আসে। দর্শকও সবসময় নতুন কিছু চান। দেখুন, ক্রিকেটের অনুষ্ঠানগুলোও কিন্তু একেকটা একেক রকম। তার পরও বিষয় কিন্তু একই। এ জন্য ‘লেট নাইট কফি’, ‘চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’, ‘মারিয়ার রান্নাঘর’র মতো অনুষ্ঠানগুলোয় কাজ করে উপস্থাপক হিসেবে নিজেকে ভিন্নরূপে তুলে ধরতে চেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এসব অনুষ্ঠান থেকেও যখন দর্শকের সাড়া পেয়েছি, তখন মনে হয়েছে, আমার সিদ্ধন্ত ভুল ছিল না।’

এদিকে নতুন একটি টিভি চ্যানেলের জন্য রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে মারিয়া বলেন, ‘রান্নার অনুষ্ঠানও নান্দনিক হতে পারে। আর এটা প্রমাণ করতেই ‘মারিয়ার রান্নাঘর’ অনুষ্ঠানটি করেছি। অস্বীকার করব না, শুরুতে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আয়োজকরা যখন জানান, গৎবাঁধা অনুষ্ঠানের বাইরে নিজের মতো করে এ আয়োজন করার সুযোগ পাব, তখনই কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনুষ্ঠান প্রচারের আগে যারা শুনেছেন আমি রান্নার অনুষ্ঠানে কাজ করছি, তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, রান্নার অনুষ্ঠান কেন করছি? এ প্রশ্ন করায় দোষ নেই। যারা আমাকে ক্রিকেট বিষয়ের সব অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে দেখেছেন, তারা হয়তো ভাবেননি, আমাকে কখনও রান্নার অনুষ্ঠানে দেখবেন। সে কারণেই হয়তো এ প্রশ্ন। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল, অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু হলে উত্তরটা সবাই পেয়ে যাবেন। অনুষ্ঠান প্রচারের পর অসম্ভব সাড়া পাচ্ছি। অনেকে বলেছেন নতুন এক মারিয়ার দেখা পেলাম।’

এসএ/