বিধ্বস্ত বিমানে ছিলেন শিশুসহ ৩৩ বাংলাদেশি
প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুই শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ।
আজ দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে এটি ছেড়ে যায়। নেপালে পৌঁছানোর পর এটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত পরে যোগাযোগ করলে ইউএসবাংলা সিইও গণমাধ্যমকে বলেন, হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ফ্লাইটে ৬৫ জন বয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, ১ জন মালদ্বীপ, ১ জন চাইনিজ বাকিরা নেপালির যাত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিমানটি উড্ডয়নের দেড় ঘণ্টা পর আমরা দুর্ঘটনার সংবাদ পাই। ঘটনার পর থেকে ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট বন্ধ রয়েছে। এয়ারপোর্ট খুললে আমরা আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পাঠাব।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৮ যাত্রীবাহী পুড়ে যাওয়া বিমানটির ৫০ যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ইউএস-বাংলার এস২-এজিইউ বিমানটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়।
নেপাল সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
টিআর / এআর