ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রাজীব গান্ধীর খুনের পুনঃবিচার সম্ভব নয়ঃ সিবিআই

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

ভারতের সাবেক এবং ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকান্ডের বিচারকাজ পুনরায় পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত এ জি পিরারিভালান নামের এক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীর পুনঃবিচারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করে সিবিআই।

রাজীব হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ‘বেল্ট বোমা’র জন্য দুইটি নয় ভোল্টের ব্যাটারি সরবরাহ করে এ জি পিরারিভালান। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীকে খুন করার সপ্তাহ খানেক পরে গ্রেফতার করা হয় পিরারিভালানকে।

গ্রেফতারের সময় পিরারিভালানের বয়স ছিল ১৯ বছর। বিচারিক আদালতে তার মৃত্যুদন্ড হয়। তবে উচ্চ আদালত ২০১৪ সালে তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এরই মধ্যে ২৬ বছর ধরে জেলে বন্দী আছেন এই কয়েদী। যার মধ্যে নির্জন কারাবাস করেন ১৪ বছর।

তবে সম্প্রতি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে মামলার পুনঃবিচারের আবেদন জানান ৪৫ বছর বয়সী পিরারিভালান।

আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, “তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার একটি বক্তব্যকে তদন্তপত্রে উল্লেখই করেনি। আমি সেখানে বলেছিলাম যে, আমি জানতাম না যে, কী কারণে আমার থেকে ব্যাটারিগুলো নেওয়া হচ্ছিল। ব্যাটারিগুলোকে যে বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে তা আমার জানাই ছিল না”।

পিরারিভালানের আইনজীবী মামলার পুনঃবিচারের আবেদনের যুক্তিতে বলেন যে, ঐ সময়ের তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে (পিরারিভালান) সঠিকভাবে জেরা করেননি। পাশাপাশি সেই তদন্ত দলের একজন জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ভি থিয়াগারাজানের উদ্ধৃতি দিয়ে ঐ আবেদনপত্রে আরও বলা হয় যে, ঐ কর্মকর্তা সেসময় স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি পিরারিভালানকে যথাযথভাবে জেরা করেননি এবং পিরারিভালান জানতেন না যে কেন তিনি ঐ ব্যাটারিগুলো সরবরাহ করছে।

শুধু তাই নয়, পিরারিভালানের দাবি, যে বোমাটি তৈরি করেছেন তিনি শ্রীলংকাতেই আছেন। তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ না করেই পিরারিভালানকে সাজা দেওয়া হয়েছে?

এদিকে পিরারিভালানের এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতের একটি আদালত সিবিআই এর কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে আজ সোমবার এই আবেদনের বিরুদ্ধে মত দেয় সংস্থাটি।

নিজেদের বক্তব্যে সিবিআই বলে, খুনের পর থেকেই মামলার তদন্তে শ্রীলংকা সরকার কোন সহায়তা করেনি। তাই শ্রীলংকায় গিয়ে অথবা শ্রীলংকার কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি যা এখনও সম্ভব না। আর তাই এই মামলার পুনঃবিচার হতে পারে না বলে মত সিবিআই এর।

একই সাথে আবেদনটি খারিজ করে দেওয়ার পক্ষেও নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন সিবিআই। এমনকি পিরারিভালানের এমন আবেদনের আইনী যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলের তিনি।

সূত্রঃ এনডিটিভি

//এস এইচ এস// এআর