ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

ছবিতে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:০৭ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

নেপালের কাঠমান্ডুতে বেসরকারি বিমান সংখ্যা ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে কথা জানিয়েছে।

ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালের সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মৃত্যু কথা বলা হয়েছে। আর এএফপি বলছে ২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭৮ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ছেড়ে যায় বিমানটি। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জিএম রাজকুমার ছেত্রী ৫০ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (দুই নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটিতে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২ জন শিশু ছিল। ৬৭জন যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের ছিলেন ৩২জন নাগরিক, নেপালের ৩৩জন, মালদ্বীপের ১জন এবং চীনের ১জন ছিলেন বলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স সুত্রে জানা গেছে।

বিমানটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। বাইরে পাখাবিশিষ্ট এ ধরনের প্লেনে সর্বোচ্চ ৭৮টি আসন থাকে।

নেওয়াত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, অবতরণের সময় উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানটি পাশের একটি ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে।

ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য্য জানিয়েছেন, প্লেনটিতে ৬৭ আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আর