ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

স্বামী-সন্তানসহ নিখোঁজ সুজন কর্মকর্তা বিপাসা

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৮:৪৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

সানজিদা হক বিপাসা। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন তিনি। হিমালয়-কন্যা নেপাল ঘুরতে যাওয়ার জন্য সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে যাত্রা শুরু করেন তিনি। বিপাসার সঙ্গী ছিলেন স্বামী রফিক জামান রিমু ও তাদের ছয় বছর বয়সী ছেলে অনিরুদ্ধ।

তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলার বিমান ‘বিএস-২১১’ নেপালের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুতে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে উড়োজাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। বার্তা সংস্থা বিবিসি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভুল দিক থেকে অবতরণের সময় বিমান বন্দরের বেষ্টনী বেড়ার সাথে সংঘর্ষ হয় বিমানটির।

আর এর পর থেকেই বিপাসাদের আর খোঁজ মিলছে না।

অফিসে বিপাসার পাশের টেবিলেই বসতেন দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈকত শুভ্র আইচ মনন। মনন বলেন, স্বামী-সন্তানকে নিয়ে নেপাল ভ্রমণে গিয়েছিলেন বিপাসা। ১৭ মার্চ দেশে ফেরার কথা ছিল। আজ নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজেটি বিধ্বস্ত হয় তখন আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। এখন পর্যস্ত বিপাসার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিমানের ১৫ নম্বর সারির ডি,ই এবং এফ আসনে ছিলেন এই তিনজন।

বিমান দূর্ঘটনা বিষয়ক প্রাপ্ত তথ্য থেকে এই তিনজন নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলেই আশংকা করা হচ্ছে। কারণ কাঠমানডো মেডিকেল কলেজ থেকে যে ১৭ জন জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয় তাদের তালিকায় নেই বিপাশাদের নাম। এমনকি সেই তালিকায় কোন শিশুর উল্লেখ না থাকাতেও বিপাশার ছেলে অনিরুদ্ধও নিহত গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশংকা করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭৮ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ছেড়ে যায় বিমানটি।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জিএম রাজকুমার ছেত্রী ৫০ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (দুই নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২ জন শিশু ছিল। ৬৭জন যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের ছিলেন ৩২জন নাগরিক, নেপালের ৩৩জন, মালদ্বীপের এবং চীনের ১জন করে যাত্রী ছিলেন বলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স সুত্রে জানা গেছে।

আর/এস এইচ এস/