ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

বিধ্বস্ত বিমানযাত্রীরা ফেসবুকে সবশেষ যা লিখেছিলেন

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার এয়ারলাইন্সে সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৬৭ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমান উড্ডয়নের আগে যাত্রীরা তাদের নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে সবশেষ আবেগ তাড়িত কিছু লেখা লিখেন। `হে আমার দেশ, পাঁচ দিনের জন্য বিদায়` (টাটা মাই কান্ট্রি ফর ফাইভ ডেইস) বিমানের ওঠার আগে এভাবেই ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস লিখেছিলেন পিয়াস রায়।
বেলা ১টার সময় তিনি তার ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস লিখেন। নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তার একজন যাত্রী ছিলেন পিয়াস।

‘সোনামনি নামের আরেক নারী যাত্রী নেপালে তৃতীয়বার হানিমুন করতে যাচ্ছি’ বলে তার ফেসবুকে বেলা ১২টার সময় উল্লেখ করেছেন। মেহেদি হাসান অমির সঙ্গে নেপালের কাঠমান্ডু যাচ্ছি।

সোনামনির সঙ্গে থাকা আরেক যাত্রী এ্যানি প্রিয়ক দুপুর ১২টার সময় তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমানটি দুপুরের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিল। মোট ৭১ জনের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাচ্ছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (২নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্লেনটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। বাইরে পাখাবিশিষ্ট এ ধরনের প্লেনে সর্বোচ্চ ৭৮টি আসন থাকে।

কেআই/এসি