রাজধানীতে মেট্টোরেল নির্মাণের সময়ে জনদুর্ভোগ সহনীয় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ১৬ মে ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ১৬ মে ২০১৬ সোমবার
রাজধানীতে মেট্টোরেল নির্মাণের সময়ে জনদুর্ভোগ সহনীয় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের কিছু লেন উন্মুক্ত রেখে বিকল্প রুট রাখা হচ্ছে। নির্মানের মূল কাজ হবে শহরের বাইরে প্রশস্ত ইয়ার্ডে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর এগিয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা ডিপো থেকে আগারগাঁ পর্যন্ত আংশিকভাবে মেট্রোরেল চালু করতে চায় সরকার।
অপরিকল্পিত নগরী ঢাকার সবচেয়ে-বড় সমস্যা যানজট। এর সমাধানে স্ট্র্যাটিজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের আওতায়, বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প মেট্রোরেল নির্মানের কাজ শুরু করে সরকার। ২২ হাজার কোটি টাকার বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পের অর্থায়ন করছে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকার।
উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী, মিরপুর-১০, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্ত্বর, তোপখানা রোড ও স্টেডিয়াম হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ২০ দশমিক ০১ কিলোমিটারের এমআরটি লাইন-৬ নামের এই মেট্রোরেল।
কৌশলগত কারণে, ২০১৯ সালেই প্রথম পর্যায়ে উত্তরা ডিপো থেকে আগারগাঁ পর্যন্ত আংশিকভাবে মেট্রোরেল চালু করতে চায় সরকার। বাকীটা হবে ২০২০ সালে। সব মিলিয়ে ৮টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজে পুরো নির্মান কাজ শেষ করতে প্রস্তুতিমূলক কাজ গুছিয়ে, দরপত্র আহবান করা হয়েছে সব কটির। এরিমধ্যে, ওয়ার্ক ওর্ডার নিয়ে মূল ডিপো নির্মানের কাজও শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্টরা জানালেন, নির্মানকালীন জনদূভোগ সহনীয় মাত্রায় রাখতে সবরকমের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দিন এড়িয়ে, কাজ হবে রাতে। ইউটিলিটিজ সার্ভিসের লাইনগুলোর স্থানান্তরের জটিলতা এড়াতে, পূর্ণাঙ্গ সার্ভে ও নকশা’র কাজও শেষ।
সিংক ঃ কায়কোবাদ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ
যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করতে, ‘এমআরটি লাইন সিক্স’ মেট্রোরেল উত্তরা ডিপো থেকে সাভার বাইপাইল এবং মতিঝিল থেকে ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত সম্প্রসারণসহ আরো ৫টি এমআরটি লাইনের পরিকল্পনা রিভাইজ স্ট্যাটিজিক প্ল্যানে, রেখেছে সরকার।