ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

বিধ্বস্ত বিমানের আরোহীদের চিৎকার ‘আমাকে বাঁচাও’

প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

উড়োজাহাজটি যখন শূন্য মাঠের ভেতর দিয়ে ছুটতে থাকে তখন রানওয়ের পাশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সে সময় নেপালি আরোহীরা চিৎকার করে বলছিলো, ‘আমাকে বাঁচাও, বাঁচাও আমাকে’। আর বাংলাদেশি আরোহীরা চিৎকার করে বলছিলেন, ‘হেল্প মি, প্লিজ হেল্প মি।’ গতকাল সোমবার নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির যাত্রীরা এভাবেই নিজেদের জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছিলেন।

নেপালের সেনাসদস্য বালকৃষ্ণ উপাধ্যায় দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর কাছে এমন অভিজ্ঞতার কথা জানান। ওই বিধ্বস্তের ঘটনাকে ভয়ঙ্কর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নেপালি সাংবাদিক ভদ্র শর্মা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে বলেন, ‘উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে আমি ছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িগড়ি করে বিমানবন্দরে ছুটে গিয়ে বিমানবন্দরে গেটে পৌঁছে নুড়ি পাথরের একটা স্তুপে দাঁড়িয়ে দেখি, বিধ্বস্ত বিমানের ইঞ্জিন থেকে আগুন বেরুচ্ছে।’

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের চারপাশে তাকিয়ে দেখি, ঘাঁস থেঁতলে কালো হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। হতাহতদের উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলেন।  

বিমানবন্দরের একটি জ্বালানি কোম্পানিতে কাজ করেন কৈলাশ অধিকারী।  ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তিনি বলেন,পর পর দুই বার বিকট শব্দ হয়।  বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পর অগ্নিনির্বাপকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা যদি আরও আগে আসতে পারতো, তাহলে আরও বেশি মানুষকে বাঁচানো যেতো।

উড়োজাহাজে থাকা বসন্ত বোহোরা নামের একজন নেপালি যাত্রী বলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হওয়ার পরপরই বিকট শব্দ হয়। জানালার পাশেই আমার আসন ছিলো। কাচ ভেঙে আমি বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য যে, এমন ঘটনার পরও আমি বেঁচে আছি।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হন। উড়োজাহাজটিতে মোট ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন।

সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসভ

একে//এসএইচ/