ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২২ ১৪৩১

৪৬ স্বজনকে নিয়ে নেপালের পথে ইউএস বাংলা

প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

নিহতদের স্বজনবিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের ৪৬ স্বজনকে নিয়ে নেপালের পথে রওনা হয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২ মিনিটে স্বজনদের বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এর আগে সোমবার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে নেপালে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্সটির ৭ কর্মকর্তাও এই ফ্লাইটেই নেপাল যাচ্ছেন।

ইউএস বাংলার জিএম কামরুল ইসলাম বলেন, ৪৬ জনকে নেপালে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নেপালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, মরদেহ দেশে আনা, আহতদের চিকিৎসার কার্যক্রম তদারকি করবেন তারা।

ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত বিমানের কেবিন ক্রু নাবিলার ভাসুর বেলাল হোসেন ভূইয়াও যাচ্ছেন নেপাল। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়েছিলাম, নাবিলা এই বিমানে ছিল। কিন্তু ইউএস বাংলা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। ফলে আমি যাচ্ছি, নিশ্চিত হতে। অনেক আশা নিয়ে যাচ্ছি, দেখা যাক কী হয়।

বৈশাখী টিভির রিপোর্টার ফয়সাল আহমেদের মামা কায়কোবাদ বলেন, ফয়সালের খবর আগেই জেনেছি। আশা নিয়ে যাচ্ছি, এখন আর কথা বলার সময় নেই। যাচ্ছি দেখা যাক কী হয়।

মতিউর রহমানের ভাগনা আশরাফুল আলম জীবন যাচ্ছেন নেপাল। ইমরানা কবির হাসি ও তার স্বামী রকিবুল হাসানের পক্ষ থেকে চারজন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসির বাবা হুমায়ুন কবির। এছাড়া হুমায়ুন কবিরের ভাতিজি ও তার স্বামী এবং রকিবুল হাসানের মামা ও মামাতো ভাই যাচ্ছেন।

রকিবুল হাসানের মামা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি মেয়ের জামাই রকিবুল ইসলাম মারা গেছে। আমার মেয়ে জীবিত আছে। সে এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার চার জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাসূত্রে জানা গেছে, ৪৯ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।

এসএইচ/