ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২২ ১৪৩১

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নোয়াখালীর ৩ আসামির প্রাণদণ্ড, একজনের জেল

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নোয়াখালীর তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

দণ্ডিতদের মধ্যে আমির আলী, জয়নাল আবদিন, ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের ফাঁসির রায় হয়েছে। আর মো. আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের জেল। এদের মধ্যে মনসুর পলাতক। বকি তিনজন রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা তিন অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের তিন আসামির সাজা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করতে হবে।

সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

এ মামলায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও মামলার অভিযোগ গঠনের আগে মো. ইউসুফ আলী নামে এক আসামি গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ২০ জুন এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত। ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৩১টি মামলার ৭১ আসামির মধ্যে তিনজন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মোট ৬৮ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪১ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।    

তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম প্রারম্ভিক বক্তব্যে জানান, এ মামলায় তারা যে রায় দিচ্ছেন, তা ১৫০ পৃষ্ঠার।

পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার রায়ের সার সংক্ষেপের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন। বিচারপতি আমির হোসেন পড়েন রায়ের দ্বিতীয় অংশ। সবশেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সাজা ঘোষণা করেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

/ এআর /