বাংলাদেশের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের চান প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের অংশীদার হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এই দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য চট্টগ্রামে পাঁচশো একর জমি দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর মঙ্গলবার সাংরি লা হোটেলে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকালে উদ্বোধনীতে শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে আমি সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের জন্য একই এলাকায় পাঁচশো একর জায়গা দেওয়ার প্রস্তাবটি উত্থাপন করে শেখ হাসিনা বলেন, এক জায়গাতেই পাঁচশো একর জায়গা বা তার থেকেও বেশি, আপনাদের যা প্রয়োজন.. মূলত চট্টগ্রামের মিরেরসরাইতে।
ভৌগোলিক দিক থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের কাছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের জন্য মিরেরসরাই খুবই উপযুক্ত স্থান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের (আইই) মধ্যে একটি, ডিজিটাল গভার্নমেন্ট ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে একটি এবং এফবিসিসিআই ও এমসিসিআইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রথম সমঝোতা স্মারকে সই করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম ও আইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথি লাই।
ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ট্রান্সফরমেশনের জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সিস্টেম সায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খুং চ্যান মেং এবং বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।
সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ডগলাস ফু ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির অপর দুই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের শর্ত সবচেয়ে উদার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আইনের সুরক্ষা পাচ্ছেন। এছাড়া তারা কর অবকাশ, যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর ছাড় এবং মুনাফা নিজ দেশে ফেরত নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের স্বল্প মজুরির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিশাল তরুণ সমাজ রয়েছে, যারা উদ্যমী। তারা সহজেই প্রশিক্ষিত কর্মীতে পরিণত হতে পারে।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এস এস থিও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এসএইচ/