বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড যৌথভাবে তদন্ত করার সীদ্ধান্ত
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ১৬ মে ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০২:৪২ পিএম, ১৬ মে ২০১৬ সোমবার
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সহিংসতা ও হত্যাকান্ডসহ যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনা যৌথভাবে তদন্তে একমত হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দুই বাহিনীর দুই মহাপরিচালক।
প্রায়শই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ঘটে হামলা ও সহিংসতার ঘটনা। এতে বেশীরভাগ সময়ই প্রাণ হারান নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক। ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তেবিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন৷ যার বিচার আজও পায়নি ফেলানীর পরিবার।
সবশেষ গেলো শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার নতুনপাড়া সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয় শিহাব নামের এক কিশোর। যখন ঢাকার পিলখানায় চলছিল বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যাকান্ড নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
সীমান্ত হত্যাকান্ডসহ যেকোনো ঘটনা বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।
সীমান্তে কেউ ধরা পড়লে গুলি না করে আটক করাই নিয়ম, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিএসএফ গুলি করছে। এক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবে বিএসএফ।
সংবাদ সম্মেলনের বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।