ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও ভর্তুকী অব্যাহত: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:২৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

আগামীতে জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও খাতটিতে ভর্তুকী অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আরো বেশিদিন সস্তায় জ্বালানী সরবরাহ করতে পারবো না। আর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম আমাদের দেশের চেয়ে অনেক বেশি। সে কারণে আমাদেরও জ্বালানীর দাম বাড়াতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিগত সময়ে যেভাবে ভর্তুকী দেওয়া হয়েছে, আগামীতেও দেওয়া হবে। আগামীতে জ্বালানী খাতে কী পরিমান ভর্তূকী দিতে হবে, তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একজন সচিবের নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসলে দেশে বিদ্যুতের সমস্যা প্রকট ছিল। গত দশ বছরে এ ক্ষেত্রে আমাদের সার্বিক অগ্রগতি প্রতীয়মান হয়েছে। যার ছোঁয়া আমাদের সব সূচকে লেগেছে। আমরা আগামী অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার উৎসব পালন করবো।

 ‘ইমার্জিং রোল অব বিইআরসি ইন ২০২১ ও ২০৪১’ শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের  সচিব মোহাম্মদ কাইকাউস, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার  ইসলাম, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ মুহতামিম প্রমুখ। 

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগামী ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো। আমাদের চিন্তা-চেতনাও উন্নত হতে হবে। সার্বিক দিক দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্নীত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কমিশনকে স্বাধীন করার কথা বারবার আসাটার বিষয় আমাদের ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনও একটি কমিশন, আবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনও একটি কমিশন। এখানে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক কমিশন সবগুলো নয়। যেখানে স্বাধীনতার প্রশ্ন আসবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ কাইকাউস বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে। ভোক্তাদের সহনীয় পর্যায়ে জ্বালানীর দাম নির্ধারণে ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে তাদের স্বাধীনতা প্রয়োজন।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানী খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। নইলে গণশুনানী ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক জ্বালানীর দাম  নির্ধারণ করে কাজে আসবে না। জ্বালানীর দাম নির্ধারণে অবিলম্বে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, আমরা উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হতে আগামী ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছি। এসডিজি অর্জনে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কমিশনকে আধুনিক ও গতিশীল করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ মুহতামিম বলেন, ভর্তুকীর ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক হতে হবে। যেখানে যাকে উচিত ঠিক তাকেই ভর্তুকী দিতে হবে।

আরকে//