ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নিধনে ফেসবুকের ভয়ানক ব্যবহার

প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৮ বুধবার

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান জোরালো করতে সমরাস্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভয়ানক ব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উগ্র বৌদ্বধর্মাবলম্বীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে বেছে নিয়েছিলেন বলে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল জানিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল মনে করেন, দেশটিতে যেভাবে ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ফেসবুক নিজেই একটা জ্যান্ত দানব হয়ে উঠেছে। যেহেতু দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কেবল ফেসবুক, তাই সহিংসতা উসকে দিতে এই ফেসবুকের-ই ভয়াবহ ব্যবহার হয়েছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন অন মিয়ানমার’ সোমবার তাদের তদন্তের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এক সংবাদ সম্মেলনে মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসম্যান বলেন, বিস্তৃত পরিসরের মানুষের মাঝে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তিক্ত মনোভাব তৈরিতে ফেসবুক ভয়াবহ প্রভাব রেখেছে। শুধু উস্কানিমূলক বক্তব্য-নয়, বরং রোহিঙ্গাদের অত্যাচার-নির্যাতনের দিক নির্দেশনাও ছিল ফেসবুক পোস্টগুলোতে।

মারজুকি দারুসম্যান আরও বলেন ‘মিয়ানমার পরিস্থিতি যতটা উদ্বেগজনক, তার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে ফেসবুক। সেখানে সামাজিক মাধ্যম মানেই ফেসবুক আর ফেসবুকই সামাজিক মাধ্যম।’

এর আগে দেশটিতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছিল ফেইসবুক। এখন ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে ‘বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের কোনো স্থান নেই।”


মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বলেন, “আমরা জানি ফ্যাসিস্ট বৌদ্ধদের নিজস্ব ফেইসবুক পেজ রয়েছে,তারা এটা ব্যবহার করে সত্যিই রোহিঙ্গা বা অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগুলোর বিরুদ্ধে প্রচুর সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভীত, যে ফেসবুক এখন পশুতে পরিণত হয়েছে, তার যে উদ্দেশ্য ছিল তা আর নেই।’

সূত্র: রয়টার্স
এমজে/