সাত দিনের আল্টিমেটাম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে স্থগিত শিক্ষক মহাসমাবেশ
প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৮ বুধবার
সারাদেশ থেকে রাজধানীতে আগত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস দিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
নেতারা স্থগিত ঘোষণার সময় সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটামও দিয়েছে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে নেতাদের স্থগিত ঘোষণায় সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
‘শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির’ নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ পালন করেন তারা। সারাদেশের ১০টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সম্বন্বয়ে যুক্ত হয়ে এ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। গত ১০ মার্চ থেকে জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে তারা বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুবকর সিদ্দিকী মহাসমাবেশ স্থগিত করে দাবি আদায়ে আগামী সাত দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করলে সাধারণ শিক্ষকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। কেউ কেউ খালি পানির বোতল, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। মানি না মানবো না বলে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। দাবি আদায় ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা দেন।
দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সাধারণ শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে দুই দফায় সংর্ঘষ সৃষ্টি হয়। মানি না মানবে না বলে সাধারণ শিক্ষকরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুবকর সিদ্দিকী আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পরও শিক্ষকরা রাজপথ না ছাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে শিক্ষকনেতা আবুবকর সিদ্দিকী সেখান থেকে সরে পরেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সব শিক্ষকের প্রতি আহ্বান জানান। ফলে শিক্ষকদের আন্দোলন দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। আন্দোলন স্থগিত ঘোষণাকালে সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আবুবকর সিদিক্কী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়নে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমাদের যৌক্তির দাবির বিষয়টি তিনি প্রাধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, আগামী ৭ দিন সারাদেশে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হবে। এরপরও যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে নতুন করে আমাদের কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। সভাপতির এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষকরা। তারা ঘোষণা দেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে শিক্ষকদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারা মাইক বন্ধ করে দেয়। এরপর শিক্ষকরা সমাবেশ থেকে সর্বশেষ কোন দিকনির্দেশণা না পাওয়ায় সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন।
আরকে// এআর