আটকরা মুক্ত: শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৮ বুধবার
কোটা ব্যবস্থার সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ওই শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে রমনা থানায় গেলে আরও প্রায় অর্ধশতক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী বিকেল থেকে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তাদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীসহ পথচারিরা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে রাত সোয়া ৯টায় আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, আটক শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার খবর শাহবাগে আন্দোলনকারীদের কাছে পৌঁছালে তারা আনন্দ মিছিল করে। পরে তাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা সরে আসেন।
এর আগে, আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে আনা হয় জলকামান, দাঙ্গা দমনের গাড়িসহ আনুষঙ্গিক উপকরণ।
শাহবাগে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবির পাশাপাশি আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসাসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীরা। তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষার্থী সুমন কবির বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে। এতে আহত হন ৫-৭ জন। আটক করা হয় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে আমরা শাহবাগে অবস্থান নেই। রাত সোয়া ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার খবর আমাদের কাছে আসে। এ খবর শুনে আমরাও অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। তবে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি: সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
আর