প্রেমিকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন শ্যামল মাওলা
প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০৫ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
এক বন্ধুর সহযোগিতায় প্রেমিকা নিয়ে পালিয়ে রাজশাহী চলে গেলেন শ্যামল মাওলা। মেয়েটির বাবা একজন পুলিশ অফিসার। যে কোনো মুহুর্তে ধরা পড়ে যেতে পারেন। তাই দ্রুত ঢাকা থেকে পালাচ্ছে তারা। যাওয়ার পথেই তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় আরেক মেয়ের। যে কিনা ভয়ঙ্কর রকমের ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত। সেও তাদের সঙ্গী হয়। পথিমধ্যে নানা ধরণের ঘটনার জন্ম দেয় তারা। এক পর্যায়ে তারা রাজশাহী পৌঁছে যায়। পরে ভুল বুঝতে পেরে তারা আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
এরকমই একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘চলো পালাই’। মেহেদী হাসান সজীবের রচনা ও মামুন খানের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন, শ্যামল মাওলা, সানজিদা তন্ময়, ফারজানা রিক্তা, রিয়াজুল রিজু সহ অনেকে।
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা শ্যামল মাওলা বলেন, গল্পটি খুবই সুন্দর, সাধারণত আমরা যে টাইপের গল্পে অভিনয় করি বা দেখে থাকি তার থেকে ব্যতিক্রম একটি গল্প। পরিচালকও খুব যত্নসহকারে নির্মাণ করেছেন।
পরিচালক মামুন খান বলেন, আমি এর আগেও দুটি নাটক পরিচালনা করেছি, নাটক দুটির গল্পও ভিন্ন ধরনের ছিলো এবং আমার নাটক সবসময় ন্যাচারাল রাখতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় এই নাটকটির গল্পেও ভিন্নতা এনেছি এবং ন্যাচারাল রাখার জন্যই সকলে যেখানে খরচ বাঁচাতে উত্তরা কিংবা গাজীপুরের বাহিরে যেতে চান না, সেখানে আমরা রাজশাহী পর্যন্ত গিয়ে শ্যুটিং করেছি, আশা করছি আমার আগের নাটকের থেকেও বেশি সাড়া পাবো এই নাটকটিতে।
অভিনেত্রী সানজিদা তন্ময় বলেন, পালিয়ে বিয়ে করার আনন্দই আলাদা যেটা এই নাটকের মাধ্যমে আমি উপলদ্ধি করতে পেরেছি। যখন আমি বিয়ের দিন আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যাই। তবে এটাও ঠিক যে এভাবে পালিয়ে বিয়ে করাটা মোটেও ঠিক না, ফ্যামিলি তথা বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না। এবং আমরা যখন বুঝতে পারি তখন আমরা আবার ঢাকায় ব্যাক করি। নাটকটির শ্যুটিং করার সময় মনে হয়েছে যে আমি সত্যিই পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছি, আমার কাছে মনেই হয়নি যে এটা স্রেফ অভিনয়।
অভিনেত্রী ফারজানা রিক্তা বলেন, আমাদের তো প্রায় প্রতিদিনই শ্যুটিং করতে হয়। শ্যুটিং করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে তাই মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যাই। তবে এবার আর নিজের খরচে ঘুরতে যেতে হলো না, কারণ শ্যুটিংটি আমরা এভাবেই করেছি যে আমাদের কাছে মনেই হয়নি আমরা শ্যুটিং করছি বরং আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা কোন ট্যুরে যাচ্ছি। নাটকটির শ্যুটিং করে খুব এনজয় করেছি।
কারুকাজ প্রোডাকশনের প্রযোজনায় গত ৯ এবং ১০ মার্চ ঢাকা থেকে শুরু করে হাইওয়ে ধরে রাজশাহী পর্যন্ত নাটকটির শ্যুটিং হয়। এতে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন আর কে সরকার রকি, সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন আব্দুল মঈদ শাকিল, ক্যামেরাম্যান হিসেবে ছিলেন আরমান হুসাইন এবং প্রোডাকশন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন ইমদাদুল ইসলাম (যিকরান)।
নাটকটি আগামী ঈদুল ফিতরে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
এসি