ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার: কোন পথে রুশ-ব্রিটেন সম্পর্ক

প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাজ্য থেকে ২৩ জন রুশ কূটনীতিকে বহিষ্কারের ঘটনায় দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটেন কেন এতো কূটনীতিককে একসঙ্গে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে ঘোষণা করেছেন, ওই ২৩ জন কূটনীতিককে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ছেড়ে যেতে হবে। অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ অভিযোগ করেন, ব্রিটেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

ব্রিটেনের এরকম পদক্ষেপ রাশিয়ার সাথে তাদের সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান মনে করেন, ব্রিটেন বুঝতে পেরেছে এর মাধ্যমে আমেরিকার সাথে ভালো সম্পর্ক হবে। রাশিয়ার সাথে কোন কাজ হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটেনের প্রতি নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি আছে বলে তিনি মনে করেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কানাডার সঙ্গে ব্রিটেনের ভালো সম্পর্ক আছে। আমেরিকার সাথে যদি ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে তাহলে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্যদের প্রয়োজন নেই। আমার তো মনে হয় পুতিন এবার বলবে যে এদের ব্যাপারে তাঁর কোন হাত ছিল না। পুতিন এবং ট্রাম্প কেউ কারো চেয়ে কম নন বলেও মত দেন।

রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারে আমেরিকার সমর্থন ছিল বলেও মনে করেন জিল্লুর রহমান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দেশটির এক ধরণের দ্বন্দ্ব ছিল এবং এখনো তা রয়েছে। এদিকে সিরিয়া ইস্যুর পর পুতিন চাচ্ছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন যে রকম সুপার পাওয়ার ছিল, আবারও সেই অবস্থায় ফিরে যেতে চাচ্ছে দেশটি।

এমন অবস্থায় ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে রাশিয়াকে মোকাবেলা করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে রাশিয়ার উপর আগে থেকেই নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাশিয়াকে ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যেভাবে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নের কথা বলছে, তাতে অনেকেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের কথা মনে করে উদ্বিগ্ন বোধ করবেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমজে/