গরমে তরল জাতীয় খাবারের উপকারিতা
প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২৬ এএম, ২২ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
গ্রামে এখনও গরম না পড়লেও শহরে বেশ গরম পড়েছে। যত দিন যাবে ততই গরম বাড়তে থাকবে। তীব্র এই অসহ্য গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে যায়, এতে শরীরের পানি শুকিয়ে যায়। এছাড়া গরমে হিটস্ট্রোক হতেও বেশি দেখা যায়।
তাই গরমকালে সুস্থ থাকতে হলে ঠাণ্ডা বা পানি জাতীয় খাবার অত্যন্ত আবশ্যক। প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় ঠাণ্ডা বা তরল জাতীয় খাবার রাখলে শরীরে তৃপ্তি পাওয়া যাবে।
গরমে বেশি বেশি করে যা খেতে হবে তা একুশে টিভি অনলাইনে তুলে ধরা হলো-
১) পর্যাপ্ত পানি : গরমকালে পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের অভ্যন্তরকে পরিশোধিত করে তোলে। গরমে পিপাসার নিবারণ ঘটায় পানি পানের মাধ্যমে। তাই গরমকালে ঘন ঘন ঠাণ্ডা পানি পান করুন, এতে শরীরে তৃপ্তি লাগবে। তবে ডাবের পানির কথা উল্লেখ না করলেই নয়। গরমে ডাবের পানি যেমন শরীরকে বেশ ঠাণ্ডা রাখে তেমনি খুব পুষ্টিকর উপাদানও রয়েছে।
২) শরবত বা জুস : লেবুর শরবত বা যে কোন ফলের জুস শরীরের জন্য খুবই উপকার। গরমে যে পরিমাণ ঘাম বের হয়ে যায় তা পূরণের জন্য লেবুর শরবত কার্যকরী। লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম, যা দেহকে ঠাণ্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ রাখে। এছাড়া ইসবগুলের ভুসির শরবত খুবই শীতল। তাই গরমে এটি খাওয়া খুব জরুরি। ফলের জুসে বিভিন্ন উপাদান থাকে যা শরীরের যে কোন ঘাটতি পূরণ করে।
৩) সালাদ : গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয় খাবার। শসা, টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ করা যায়। সালাদ তৈরি করে ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে তারপর খেতে পারেন।
৪) ঠাণ্ডা জাতীয় ফল : তরমুজ, ফুটি, বাঙি, কলা ইত্যাদি এই ধরণের ফল গরমের দিনে বেশি বেশি করে খাওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। এছাড়া পাকা পেঁপে, আনারস গরমের দিনে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৫) কাঁচা সবজি : গরমের দিনে মাছ-মাংস বা তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এ সময় কাঁচা সবজি যেমন- ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল, করলা, পেঁপে, কচু, বরবটি, চালকুমড়া, শসা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। এই সবজিগুলো শরীরকে বেশ ঠাণ্ডা রাখে। গরমের দিনে মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
কেএনইউ/ এসএইচ/