ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মেসি নৈপুণ্যে কোয়ার্টারে বার্সা

প্রকাশিত : ১১:১৪ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৫৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

এক সময় বার্সেলোনাকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল চেলসি। বর্তমানে এই বার্সেলোনার পারফরম্যান্সের ধারে কাছেও নেই ইংলিশ লিগের দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে ১-১ গোলে কোনোমতে ড্র করলেছিলো অ্যান্তনিও কন্তের দল। কিন্তু ক্যাম্পন্যুতে আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসির জাদুতে সামান্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারলো না চেলসি।

বুধবার রাতে ক্যাম্পন্যুতে লিওনেল মেসির জোড়া লক্ষ্যভেদে ৩-০ গোলের জয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল আর্নেস্ত ভালভেরদের দল।

ন্যু ক্যাম্পের দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই চেলসির জালে বল জড়ান মেসি। ডান পাশ থেকে মেসি-ডেম্বলে জুটিতে বল যায় ডিবক্সে থাকা সুয়ারেজের কাছে। তার ক্রসে ডান পায়ের শটে চেলসির গোলকিপার কর্তোয়ার দুপায়ের ভেতর দিয়ে প্রায় জিরো এঙ্গেল থেকে গোল করে বসেন লিওনেল মেসি। চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৩য় মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে অসাধারণ এক কাউন্টার এটাক থেকে চেলসির ৩ ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে মেসি বল পাঠান ডেম্বেলের কাছে। ডেম্বেলের বুলেট গতির শট রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি কর্তোয়ার। ফরাসি উইঙ্গার একটু সময় নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ফলে ২০ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে চেলসি। কোয়ার্টারে যেতে হলে তখন তাদের অন্তত ২টি গোল করতেই হবে। এমন অবস্থাতেও খেই হারায়নি চেলসি। একের পর একে আক্রমণ চালিয়ে যায় তারা। সুযোগও পেয়েছিল অ্যান্তনিও কন্তের দল। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মার্কস আলোন্সোর ফ্রি কিক বার্সার গোলকিপার টের স্টেগানকে পরাস্ত করতে পারলেও পরাস্ত করতে পারেনি গোলবারকে। গোলবারে লেগে বল বাইরে চলে গেলে ম্যাচে ফেরা হয়নি চেলসির।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ বজায় রাখে কন্তের দল। কিন্তু অধরা গোল যেন ধরাই দিচ্ছিল না তাদের। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে মার্কস আলোন্সোকে ডিবক্সে ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেননি। উল্টো পেনাল্টি না দেওয়ার প্রতিবাদ করাতে জিরুড পান হলুদ কার্ড। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ইনিয়েস্তাকে উঠিয়ে পাউলিনহোকে নামান বার্সা কোচ। চেলসির আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যেই মূলত এই কৌশল।

তবে নু ক্যাম্পে রাতটা ছিল আসলে মেসির। তাই ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে আবারও মেসি ম্যাজিক। এবারের গোলটি ছিল আরও দেখার মতো। সুয়ারেসের পাস ধরে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষীপ্র গতিতে ঢুকে পড়েন চেলসির বক্সে। এরপর বাঁ পায়ের শটে আবারও কোর্তোয়ার দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। মেসির এই গোলে বার্সেলোনা ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় চেলসির শেষ আশাটাও শেষ হয়ে যায়। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কম ম্যাচ খেলে ১০০ গোল করার রেকর্ড স্পর্শ করলেন এই ফুটবলার। মেসির যেখানে ১০০ গোল করতে লাগলো ১২৩ ম্যাচ সেখানে রোনালদোর লেগেছিল ১৩৭ ম্যাচ।

শেষ মুহূর্তে চেলসি মরিয়া হয়ে গোল পরিশোধ করতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে রুডিগারের হেড বারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় চেলসি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে বীরদর্পে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট নিশ্চিত হয় বার্সা।

সূত্র: গোল ডট কম

একে// এআর