ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ময়নাতদন্তে মিললো ৮ জনের পরিচয়

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরা। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট প্রধান ড. প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে, তবে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে মাত্র আটজনের।
প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, আমরা মাত্র আটজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি মরদেহ ঝলসে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এখনও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

চিকিৎসকরা তাদের আঙুল, কানের দুল, অলঙ্কার কিংবা চোয়ালের আকৃতির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করবেন। ডা. প্রমোদ বলেন, ‘যদি কোনোভাবেই আমরা শনাক্ত করতে না পারি তবে ডিএনএ পরীক্ষা করবো।’

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রী ও পাইলটের টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন। ডা. প্রমোদ বলেন, যেকোনও বিমান দুর্ঘটনার পরে এই টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।

এছাড়া কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটাও জানা সম্ভব হবে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। কেউ মদ্যপ ছিলেন কিনা বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা সেটা পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা।

গত সোমবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও দুইজন শিশু।

দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ঘটনায় আহতদের মধ্যে সাত বাংলাদেশিকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ছয়জনও যেকোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন।

এসএইচ/